৫ তারকা মানের কোয়ারেন্টিন সুবিধা, খুলছে বিলাসবহুল থাই হোটেল

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে ধস নেমেছে থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পে। খাতটিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করার জন্য নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নতুন ভিসা চালু করেছে। এই ভিসার আওতায় কোনো পর্যটককে অন্তত ৯০ দিন থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন। এই কোয়ারেন্টিন সময় পার করা যাবে বিলাসবহুল হোটেলে। এরপর তারা যেকোনো স্থানে ঘুরতে যেতে পারবেন। গত মার্চ থেকে পর্যটকদের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা চলতি মাসে উঠে যাচ্ছে। সরকারের এ উদ্যোগের ওপর প্রত্যাশা রেখে মহামারির শুরুতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিলাসবহুল হোটেলগুলো ব্যবসায় ফিরেছে। ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন, পাঁচ-তারকা কোয়ারেন্টিনের সুবিধা দিয়ে খরুচে পর্যটকদের টানতে পারবেন তারা। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।ওই প্রতিবেদনে অনুসারে, মহামারির মধ্যেই ফোর সিজনস ও কাপেলার মতো বেশকিছু বিলাসবহুল হোটেল ফের ব্যবসায় ফিরেছে বা শিগগিরই ফিরতে যাচ্ছে। লম্বা সময় ধরে ভ্রমণে ইচ্ছুক, অতি খরুচে ও স্বাস্থ্যখাতের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে থাই সরকারের নতুন ভিসা পরিকল্পনায় লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতিও কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ তাদের।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় করোনা মোকাবিলায় থাইল্যান্ড বেশ সফল হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি মহামারির সময় পর্যটন খাতে ধসের ফলে দেশটিতে দেখা দিয়েছে রেকর্ড মাত্রার অর্থমন্দা। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাতগুলোর একটি পর্যটন শিল্প। ২০১৯ সালে এই খাত থেকে দেশটি আয় করেছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার।হোটেল ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা বিলাসবহুল ভ্রমণকারী, যারা দীর্ঘদিন অবস্থান করেন ও বেশি খরচ করেন, তাদের আকৃষ্ট করতে পারলে অর্থনৈতিক মন্দা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।  থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রধান ইউথাসাক সুপাসর্ন বলেন, এই ধরনের পর্যটকরা থাকা ও খাওয়ায় বেশি অর্থ ব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে অর্থনীতি জোর পাবে, বিশেষ করে মহামারির এই কঠিন সময়ে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৮০০ থেকে ১০০০ চীনা পর্যটক প্রথম দফায় ব্যক্তিগত জেট নিয়ে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।সরকারের ধারণা, প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার ২০০ এমন পর্যটক নতুন ভিসার আওতায় থাইল্যান্ড ভ্রমণে যাবেন। এতে মাসে ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার সমপরিমাণ রাজস্ব আয়ের প্রত্যাশা করছে সরকার।  ব্যাংক অব অযোধ্যা পিসিএল এর প্রধান অর্থনীতিবিদ সোমপ্রাওয়িন ম্যানপ্রেসার্ত বলেন, এটা একটি ভালো উদ্যোগ। সংখ্যার ওপর জোর না দিয়ে গুণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হারানো রাজস্বের অভাব মেটানোর জন্য এটুকু পর্যাপ্ত নয়। মধ্য থেকে উচ্চবিত্তদের খরচ করায় উৎসাহিত করলে অর্থনীতিতে আয় প্রবাহ বাড়বে।

Share.