খুব অল্প সময়ের মধ্যে লোকসমাগম ঘটে আনসারীর জানাজায়

0

ঢাকা অফিস:  খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা যোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লোকসামগম ঘটে। সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন এ ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলা, দাপ্তরিক তথ্য-উপাত্ত ও ভার্চ্যুয়াল জগতের খুঁটিনাটি অনেক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ১৭ই এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মারকাজপাড়ায় যোবায়ের আহমদ আনসারী মারা যান। পরদিন সকাল ১০টায় সরাইলের জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক লোকসমাগম হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে লোকজন এসে জানাজায় অংশ নেন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এত লোকের সমাগমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার (অপরাধ) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন (প্রশাসন)। তদন্ত কমিটির সদস্যরা গত রোববার সন্ধ্যা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তদন্ত দলের প্রধান ইকবাল হোসেন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের জানান। বলেন, তদন্তকাজ চলছে। আরও কিছু কাজ করবো। এখন পর্যন্ত যে তথ্যগুলো সামনে আসছে, সেটা হলো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই লোকসামগম ঘটে যায়। সকাল সাড়ে নয়টার পর থেকে মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। দাপ্তরিক তথ্য-উপাত্ত, ভার্চ্যুয়াল নানা খুঁটিনাটিসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সরেজমিনেও খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, ২৩শে এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটা প্রয়োজনে দু-এক দিন বেশি সময় লাগতে পারে। সার্বিক বিষয় তদন্ত করে আমি পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেব। এরপর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। জানা গেছে, আনসারীর জানাজার সময় ও স্থান উল্লেখ করে ১৭ এপ্রিল রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে ‘হাফিজ যুবায়ের আহম্মদ আনসারী’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেন তার ছেলে। এই বিষয়টি তদন্ত কমিটিকে জানানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, মারা যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পরই পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ দাফন করতে সরাইলের বেড়তলায় রওনা হয়ে যান। লকডাউনের মধ্যে জনসমাগম যেন না হয়, সে জন্যই তাড়াতাড়ি করে তারা শহর ছাড়েন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তদন্ত কমিটির সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হেসেন জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অনেক বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।

Share.