ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে নতুন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে বিশ্বের বড় বড় এয়ারলাইন। আবার উড্ডয়ন শুরু হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ নানা ধরনের নিরাপত্তা নির্দেশনা মানতে হবে যাত্রীদের—এমনটা জানিয়েছে তারা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশে দেশে লকডাউন জারিতে মারাত্নক ক্ষতির মুখে বিশ্বের এয়ারলাইনসগুলো। তারা জানিয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্য কিছু নির্দেশনা জারি করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এয়ারলাইনস ডেল্টা জানিয়েছে, তাদের যাত্রীদের চেক-ইন অঞ্চল, প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, বোর্ডিং গেট অঞ্চলসহ পুরো ফ্লাইটে মুখে মাস্ক পড়তে হবে। মার্কিন আরেক এয়ারলাইন ইউনাইটেড বলেছে, ‘তারা আবার কার্যক্রম শুরু করার পর কেবিন ক্রুদের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদেরও মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র কুর্ট স্টাচে বলেছেন, আমাদের সঙ্গে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীদের মানসিক শান্তি দিতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এক মুখপাত্র বলেন, ‘সব যাত্রীদের জন্য মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক হবে এবং আমরা যাত্রীদের বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করব।’ অবশ্য সব এয়ারলাইনস যে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে—এমনটা বলছেন না। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ক্যানটাস বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় মাস্ক পরার কোনো প্রয়োজন নেই।বিধি নিষেধ প্রত্যাহার হলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে সরকার বা বিমানসংস্থাগুলোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্যাসটাস বলছে, ‘উড়োজাহাজে করে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কম হিসাবে গণ্য করা হলেও, ফ্লাইটজুড়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’করোনার সংক্রমণ ঠেকিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে বিমানসংস্থাগুলো মাস্ক পরা ছাড়াও আরও নানা ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাত্রীদের নিজেদের পানি ও খাবার বহনের বিষয়েও ভাবা হচ্ছে।
করোনা রোধে বড় বড় বিমান সংস্থা মাস্কে জোর দেবে
0
Share.