ঢাকা অফিস: করোনা মহামারির সঙ্কটকালেও ক্ষমতাসীন সরকারের লোকেরা গরিব মানুষের ত্রাণ লুট করে নিজেদের পেট ভরছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন ত্রাণ চুরির বিচার কোন আইনে হবে?। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম স্বপনের উদ্যোগে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। রিজভী বলেন, আজকে সরকার গরিব মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ করছে। কিন্তু কাদেরেক দেয়া হচ্ছে ত্রাণ? গরিব মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না। অথচ ত্রাণের চাল পাওয়া যাচ্ছে সরকার দলীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যানদের বাড়িতে। তাদের খড়ের গাদায়, খাটের তলে মিলছে তেল ও শত শত বস্তা চাল। কারণ, মানুষের সেবা করা এদের লক্ষ্য নয়। এদের লক্ষ্য হচ্ছে করোনা মাহমারিকে কাজে লাগিয়ে লুটপাট করে নিজেদের পেট ভরানো। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি কোনো ভালো কাজ করলে সেটাও সরকারের সহ্য হয় না। তারা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। আসলে এই সরকারের লক্ষ্য জনগণের সেবা করা নয়। তাই হয়তো এমন আচরণ করছে। রিজভী বলেন, সরকার সবসময় আতঙ্কে ভুগছে। এই বুঝি তাদের ক্ষমতা গেল! এই বুঝি তাদের গদি হারালো! আসলে রাতের অন্ধকারে প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় ক্ষমতা ক্ষমতা দখলকারী সরকার বলেই এ ধরনের আতঙ্কে ভুগছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন নেই। তাই তারা জনগণকে ভয় পায়। বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এটা সরকারি দল সহ্য করতে পারছে না। রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলমান লকডাউনে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু সরবারি দল প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ক’দিন আগে হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের নেতা সাব্বিরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নাকি ফেসবুকে কি লিখেছে? পরে রূপনগর এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে রিজভী প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের তালিকায় বিত্তবানদের নাম দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা কোন ধরনের অপরাধ তা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে জানতে চান। রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন আমার বক্তব্য নাকি ফৌজদারি অপরাধের শামিল। আমি বলতে চাই আমরা ঝুঁকির মধ্যেও নিজেদের টাকায় সামর্থ্য অনুয়ায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর আপনারা নির্জন কক্ষে বসে বক্তব্য দিচ্ছেন। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ মানুষকে সাহায্য করতে চেয়েছেন। গরীব অসহায় লোকের নাম এই তালিকা থাকার কথা। কিন্তু দেখা গেছে ২০০ জন লোকের নামের বিপরীতে একটি মোবাইল নাম্বার। এখান থেকে কিছু রেখে দিয়ে গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। তিনি বলেন, বি.বাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ১৩ জন আত্মীয়-স্বজনের নাম। এটা কোন ধরনের ফৌজদারি আইনে বিচার করবেন জানতে চাই।
সরকারের লোকেরা গরিব মানুষের ত্রাণ লুট করে নিজেদের পেট ভরছে : রিজভী
0
Share.