কুয়েতে পাপুলের ১৬ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: কুয়েতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশি এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের কুয়েতে থাকা ১ কোটি সাড়ে ৬২ লাখ ডলারের সম্পদ জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। মানবপাচার ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বাংলাদেশি এই এমপি। এমপি পাপুল কুয়েতে মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি এবং সিইও হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। খবর গালফ নিউজের। এই তদন্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্র আল কাবাস পত্রিকাকে জানিয়েছে, বাংলাদেশি এই আইনপ্রণেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং তার প্রতিষ্ঠান জব্দ করেছে কুয়েতি কর্তৃপক্ষ। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই কোম্পানির ৫ মিলিয়ন দিনার সম্পদ রয়েছে, যার মধ্যে ৩ মিলিয়ন দিনার হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির পুঁজি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশি এই আইনপ্রণেতা যাতে তার সম্পদ কুয়েতি আদালতের এখতিয়ারের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যেতে না পারে তা প্রতিরোধে সম্পদ জব্দের মতো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটাকে আদালতের অন্তর্নিহিত এখতিয়ারের অংশ হিসেবে বিভিন্নভাবে গণ্য করা হয়। আবাসিক তদন্ত কর্মকর্তারা কোম্পানির কোষাগারে থাকা সব অর্থ, ডকুমেন্ট এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র জব্দ করেছে। এছাড়া নজরদারি ক্যামেরা ফুটেজও সংগ্রহ করেছে তদন্তকারীরা যাতে অভিযুক্তের সম্ভাব্য সহযোগীকের চিহ্নিত করা যায়। জারি হতে আরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সূত্রগুলো জানিয়েছে, তদন্ত করা হচ্ছে এমন কুয়েতি কর্মকর্তার সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নয়জনে দাঁড়িয়েছে। আরও তদন্ত এবং স্বীকারোক্তির সাপেক্ষে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত এই বাংলাদেশিকে সহায়তা করতে যারাই ঘুষ বা উপহার নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আল রেইস এক প্রতিবেদন জানায়, বাংলাদেশি এই আইনপ্রণেতা একজনর মাফিয়া বসের মতো আচরণ করতেন। তিনি গরিব এবং নিম্ন আয়ের কর্মীদের কাছ থেকে ‘ট্যাক্সও’ দাবি করতেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির লোকেরা কর্মীদের ওপর দৈনিক ৮ দিনারের ‘কর’ বসাতো। লাখ লাখ দিনারভর্তি ‘ব্যাগ’ কুয়েতের গণমাধ্যম জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে এমপি পাপুল স্বীকারোক্তি দেন যে, তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে চেকের মাধ্যমে ১১ লাখ দিনার দিয়েছিলেন। এছাড়া আরেকজন কর্মকর্তাকে নগদ ১০ লাখ দিনার এবং তৃতীয় আরেকজন কর্মকর্তাকে লাখ লাখ দিনার ভর্তি ‘ব্যাগ’ দিয়েছিলেন। পরে মানবপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সরকারি কৌঁসুলির অনুরোধে পাবলিক ম্যানপাওয়ার অথরিটির এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করেন সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মারইয়াম আল আকিল। ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবসা সরকারি কৌঁসুলিদের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে অন্তত ২০ জন বাংলাদেশি কর্মী বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে তাদের বাংলাদেশ থেকে কুয়েতি নিয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশি এই এমপির বিরুদ্ধে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যবসা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। আল কাবাস জানিয়েছে, তিন সদস্যের একটি র‌্যাকেটের সদস্য এমপি পাপুল। এই র‌্যাকেটের অপর দুই সদস্য হলেন- বাংলাদেশের আরেকজন এমপি এবং তার স্ত্রী, যিনি নিজেও সংরক্ষিত নারী আসন থেকে এমপি। আল কাবাস বলছে, কুয়েতের তিনটি বড় কোম্পানির স্পর্শকাতর পদে আসীন রয়েছেন এই তিনজন। তারা তাদের কোম্পানির মাধ্যমে ৫০ মিলিয়নের বেশি দিনারের বিনিময়ে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মীকে কুয়েতে নিয়েছে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে যে, মার্কিন একজন নাগরিকের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তরাষ্ট্রে এই অর্থ পাচার করেন পাপুল। এ

Share.