ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার ব্ড় অভিযোগ মাথায় নিয়ে কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর গতকাল র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে হাজির করে ডিবি।আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে বিচারকের উদ্দেশে সাহেদ বলেন, আমি কি একটা কথা বলতে পারি? এটি বলেই কাঠগড়ার ভেতরে কান্নাকাটি শুরু করেন সাহেদ।তিনি দাবি করে বলেন, আমি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত। আমার বাবা করোনায় মারা গেছেন। আমি মার্চে প্রথম দিন যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাই, তখন তারা আমাকে আমার হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করতে বলেন। তখন আমি বলি আমার লাইসেন্সের ঘাটতি আছে। তখন তারা বলে যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন। আমি তাদের কথা মতো টাকা জমা দেই। সারা দেশে করোনা চিকিৎসার কাজ বেসরকারিভাবে আমরাই শুরু করেছি। তারপরেও আমার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সাহেদ, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ ও সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফ্ফার আলম।অপর দিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সাহেদ-মাসুদ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আর তরিকুলের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।এর আগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদ গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে র্যাবের অভিযানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। পরে ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। তার হাসপাতালের কার্যক্রমও সরকারের নির্দেশে বন্ধ আছে।
আদালতে কাঁদলেন সাহেদ, বললেন করোনা আক্রান্ত তিনি
0
Share.