ঢাকা অফিস: দেশের গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে আওয়ামী লীগ সরকার পাপ ঢাকতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।রিজভী বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০২০ দেশের গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে আরেকটি কালাকানুন। প্রতিনিয়ত এই গণবিরোধী সরকার এমন আইন করছে যাতে কোনোভাবে বিরোধীদের কণ্ঠ প্রকাশ না পায়। অর্থাৎ টেলিভিশন থাকবে, পত্রিকা থাকবে কিন্তু কিছু প্রকাশ করতে পারবে না। এই আইন কণ্ঠরোধ করার আইন।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকাতে আটকাতে একেবারে একদল, একদেশ, এক নেতা করা হচ্ছে। যেটা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই একদলীয় নীতির আদলে এক দল, এক নেতা, একদেশ ও একটি পত্রিকা ধারাতে চলে আসছে। চূড়ান্ত চেহারায় আত্মপ্রকাশ করছেন এই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে।’তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার হলো চেতনা সন্ত্রাস। এরা হলো ভোট সন্ত্রাস, এরা হলো লুটেরা সন্ত্রাস। এখন আরেকটা সন্ত্রাস যুক্ত হয়েছে পাচার সন্ত্রাস। মানব পাচার আর টাকা পাচার। এই যে এতোগুলো সন্ত্রাস তারা তাদের অঙ্গে ভূষণ হিসেবে নিয়েছেন এটা আড়াল করার জন্য গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার কেনো বিকল্প সরকারের নেই। তারা মনে করছেন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়।’রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থার পরিবর্তনে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের দিকে ধাবিত হতে হবে। সামনে এক পবর্তসঙ্কুল পথ অতিক্রমের যে প্রস্তুতি থাকা দরকার আজকে এই তরুণরা সেই প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সজিবের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির আসাদুল করিম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাদরেজ জামান, যুব দলের কামাল আনোয়ার, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন, গোলাম সারোয়ার শামীম, এসএইচ জাবেদ ও চৌধুরী হাসান জামান মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে সরকার পাপ ঢাকতে উঠেপড়ে লেগেছে: রিজভী
0
Share.