ঢাকা অফিস: টানা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করেন তিনি। এর মধ্যেও নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তিনি। সকালে ফজরের নামাজের পর শখের বশে গণভবনের লেকে ছিপ দিয়ে মাছও ধরেন তিনি।আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত সময়ে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা মাছ ধরার কথা জানান। ফখরুল ইমাম তাঁর প্রশ্নে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব প্রশ্নই সম্পূরক প্রশ্ন। আমি একটি ডায়ালগ বলতে চাই, আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এ গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় এ গরিব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে এ টাকায়। আমি গাড়ি চলি ওই টাকায়, ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। আমরা সবাই জানি, এ কথাটা কার। আমার প্রশ্ন হলো, এখনো এই সরকার এ কথাগুলোর ওপর ভরসা করে কি না? আরেকটি হলো ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা অনেক কিছু দেখি বা অনেক কিছুই জানি। ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুরা মা খোঁজে, যুবকেরা বউ খোঁজে, আমি মোবাইল খুঁজি, আর তা দেখে আমার মা ঝাড়ু ঝাড়ে, ঝাড়ু খোঁজে। আমার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠে কী খুঁজেন?’এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর সকালের নিজের চা-টা নিজে বানিয়ে খাই। আমার ছোট বোন রেহানা আছে। যে আগে উঠে, সে চা বানায়। এখন আমার মেয়ে পুতুলও রয়েছে। সেও যদি ঘুম থেকে আগে ওঠে, তাহলে সেও চা বানায়। তার আগে নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন তো করোনাকালে নামাজ পড়ে, চা খেয়ে বই-টই পড়ার থাকলে পড়ি। আর একটু হাঁটাহাঁটি করি। গণভবনে একটা লেক আছে। সেই লেকের পাশে বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরি।’ ‘আমাদের বাবার শিক্ষা, রিকশাওয়ালাকে আপনি করে বলতে হবে। ড্রাইভারকে সাহেব বলতে হবে। বাড়ির কাজের লোকজনকে হুকুম দেওয়া যাবে না। আমরা সেই শিক্ষাই অর্জন করেছি। আমার বাসায় যারা কাজ করে, তাদের কখনো হুকুম দিই না। বলি, আমাকে এটা করে দিতে পারবে? সেই শিক্ষাই জাতির পিতা আমাদের দিয়েছেন।’ বলছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নামাজের পর ছিপ দিয়ে মাছও ধরেন প্রধানমন্ত্রী
0
Share.