ডেস্ক রিপোর্ট: তাইওয়ানের কাছে প্রায় ১৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকারের এমন পদক্ষেপের ফলে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের কাছে তিনটি অস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে- রকেট লঞ্চার, সেন্সর ও আর্টিলারি। তাইওয়ান নিজেকে একটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে চীন তাইওয়ানকে তাদের বিদ্রোহী একটি প্রদেশ হিসেবে মনে করে। সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের সঙ্গে বেইজিংয়ের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি দ্বীপটি ফেরত পেতে শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন বলেন, তাইওয়ানের হামলার জন্য চীন প্রস্তুত নয় বলে তিনি মনে করেন। তবে ভবিষ্যতের জন্য দ্বীপটির ‘নিজেকে সুরক্ষিত’ করা দরকার। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এসব অস্ত্র তাদের ‘বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধক্ষমতা তৈরি করতে এবং অসামান্য যুদ্ধের উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে’। অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- লকহিড মার্টিন কর্প. নির্মিত হাই-মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস) নামে একটি ১১ ট্রাকভিত্তিক রকেট লঞ্চার। যার আনুমানিক মূল্য ৪৩৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার। আরও আছে বোয়িং নির্মিত ১৩৫এজিএম-৮৪ এইচ স্ট্যান্ডঅফ ল্যান্ড অ্যাটাক মিসাইল এক্সপেন্ডেড রেসপন্স (এসএলএম-ইআর) ক্ষেপণাস্ত্র, যার আনুমানিক মূল্য ১ দশমিক ০০৮ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া জেটের জন্য তৈরি কলিন্স অ্যারোস্পেসের ৬টি এমএস-১১০ রিসি এক্সটারনাল সেন্সর পডস। যার আনুমানিক মূল্য ৩৬৭ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার। এদিকে বেইজিং তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি ও সামরিক সম্পর্ক তৈরি না করতে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল বেইজিং।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
0
Share.