লাইফস্টাইল ডেস্ক: অনেকের শুধু রাতে জ্বর আসে। অথচ দিনের বেলা তারা দিব্যি সুস্থ। রাতে জ্বরে ছটফট করেন, ঘুম হয়না ও সকালে ক্লান্ত বোধ করেন। বিষয়টি আমরা খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে থাকি। কেননা, দুই কি তিনদিন জ্বরের ওষুধ খাওয়ার পরই সেরে যায় জ্বর। তবে এ জ্বর যে শুধু জ্বর নয়, এটাকে লক্ষণ বলা যেতে পারে। রাতে জ্বরের ফলে খিদের অভাব, ডিহাইড্রেশন, ডিপ্রেশন, হাইপারঅ্যালগেসিয়া বা অতি অল্পেই অতিরিক্ত যন্ত্রণা বোধ, লেথার্জি, ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায়। এ জ্বর বৃদ্ধি পেলে প্রলাপ বকার মতোও সমস্যা দেখা দেয়। এ জ্বরের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে তা অবশ্যই জানা উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সকালে জ্বর নামার কারণ কী : সারা রাত জ্বর থাকে অথচ সকালে চলে যায়। কিন্তু কেন এমনটা হয়। সারা দিন ভালো অনুভব করলেও রাতে জ্বরের ফলে শরীর ক্লান্তি অনুভব করে, ঘুম কম হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিরোধক কোষগুলো দিনের বেলায় কাজ করতে সক্ষম। এ কারণে দিনে জ্বর বা সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বিপরীতে রাতে রোগ প্রতিরোধক কোষগুলি তুলামূলক কম সক্রিয় থাকায় শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস করার আশায় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে জ্বর হয়।
বাহ্যিক পাইরোগেনস : পাইরোগেনগুলি হচ্ছে জ্বরজনিত উপাদান, যা এন্ডোটক্সিনের মতো জীবাণু থেকে প্রাপ্ত। বাইরে থেকে শরীরে এই পাইরোগেনগুলি প্রবেশ করে এবং রাতে আপনাকে জ্বরে আক্রান্ত করে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ : রাতে জ্বরের জন্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও দায়ী। ব্যাকটেরিয়ার জন্য এন্ডোকার্ডাইটিস, যক্ষ্মার মতো অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে রাতে জ্বর হতে পারে।
স্ট্রেস : অতিরিক্ত স্ট্রেস ও ক্লান্তি থেকেও রাতে জ্বর এসে থাকে। তাই নিজেকে সবসময় রিল্যাক্স রাখুন এবং শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করুন। এমনভাবে কাজ করবেন যাতে কখনো নিজের কাছে চাপ মনে না হয়।
অ্যালার্জি : অ্যালার্জি থেকেও রাতে জ্বর হয় থাকে অনেকের। এছাড়া কিছু ওষুধ থেকেও এই এলার্জির সৃষ্টি হয়ে থাকে। এরকম সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ত্বকের সংক্রমণ : ত্বকের সংক্রমণ থেকেও রাতে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনো ব্যক্তির দীর্ঘ দিন যাবত ত্বকে সংক্রমণের সমস্যা থাকলে ঐ ব্যক্তির রাতে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।