ডেস্ক রিপোর্ট: নারদ মামলায় রাজ্যের সাবেক ও বর্তমান ৪ মন্ত্রীর গ্রেফতারির সামনে আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। সোমবার সকালে তাঁদের গ্রেফতারির পর দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চারজনকে আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। এর পর গ্রেফতারদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানান তারা। তখনই আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত শেষ হয়ে গেলে কেন জেল হেফাজতে পাঠানোর দরকার অভিযুক্তদের। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হাজির করে সিবিআই। গ্রেফতারদের জেল হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।পালটা গ্রেফতারকৃতদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত শেষ হলেই পেশ করা হয় চার্জশিট। তাহলে এখন অভিযুক্তদের কী কারণে জেল হেফাজত দরকার? সিবিআইয়ের আইনজীবীকে একই প্রশ্ন করেন বিচারকও। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। তাদের জেল হেফাজতে না রাখলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে। তাই জেল হেফাজত চেয়েছে তারা। এদিন অনলাইনে নারদকাণ্ডে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। গ্রেফতারদের পক্ষের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, কলকাতায় করোনা মোকাবিলার কাণ্ডারি ফিরহাদ হাকিম। তিনি করোনা থেকে সদ্য সেরে উঠেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার বয়স ৭৫ ছুঁই ছুঁই। এই পরিস্থিতিতে তাদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। দুপক্ষের শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।
পশ্চিমবঙ্গের ৪ মন্ত্রী গ্রেফতার, আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে সিবিআই
0
Share.