সাংবাদিক রোজিনার পক্ষে আবদুল গাফফার চৌধুরীসহ ১১ নাগরিকের বিবৃতি

0

ঢাকা অফিস: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ১১ নাগরিক। তারা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রোজিনা ইসলামের আক্রান্ত হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি জানান।লেখক-সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীসহ নেতৃস্থানীয় ১১ জন নাগরিক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা এবং তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন।রোজিনাকে মুক্তি দিতে সরকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন: কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, শিক্ষাবিদ অনুপম সেন, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক শাহরিয়ার কবির, অনুবাদক আবদুস সেলিম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।নথি চুরির অভিযোগ তুলে সোমবার প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনাকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রাখা হয়। পরে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। বর্তমানে তিনি কাশিমপুরর কারাগারে রয়েছেন।বিবৃতিদাতারা বলেন, রোজিনার ‘শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত’ হওয়া ও রাষ্ট্রীয় ‘গোপন তথ্য অপহরণের’ অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনা তাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা; সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন রোজিনা।বিবৃতিতে বলা হয়, মহামারীর সংকট মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। একইসাথে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতা দ্বারা সরকার উপকৃত হয়েছে।

Share.