লকডাউনে চাকরি হারিয়ে হতাশায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কাজ হারিয়ে হতাশায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন স্বামী। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানান, করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের মেয়ের। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হায়দরাবদে।জানা গেছে, পুলিশ পাঁচ দিন আগে এসভিআরআর সরকারি হাসপাতালের কাছে একটি স্যুটকেসের মধ্যে এক যুবতীর দগ্ধ দেহ পায়। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায়, এক যুবক একটি ক্যাবে করে স্যুটকেসটি সেখানে ফেলে গেছে। তারপর পুলিশ ক্যাব চালককে চিহ্নিত করে।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, দগ্ধ দেহটি চিত্তুরের রামসমুন্দ্রমের বাসিন্দা ভুবনেশ্বরী নামের এক যুবতীর। ২০১৯ সালে কাদাপার শ্রীকান্ত রেড্ডি নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ওই দম্পতির দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনে চাকরি চলে যায় শ্রীকান্তের। এরপর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে মাঝে মাঝেই ঝগড়া হতো তাদের। সর্বশেষ ২২ জুন দুজনের ঝগড়ার পর রাগের মুহূর্তে স্ত্রী ভুবনেশ্বরীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেন শ্রীকান্ত। এরপর রাতের দিকে স্ত্রীর মরদেহ স্যুটকেসে ভরে তা ফেলে দিয়ে আসেন। শ্রীকান্ত এরপর নিজের পরিবার ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানায়, করোনার ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার স্ত্রীর। আর সেই দেহ হাসপাতালের কর্মীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে মিথ্যা বলে রক্ষা পায়নি তিনি। তার সঙ্গে ক্যাব চালককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Share.