ডেস্ক রিপোর্ট: বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারতের বিক্ষোভকারীরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘ব্রিজফাই’ নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করছেন। অ্যাপটি কাজ করে তারহীন ব্লুটুথের মাধ্যমে। যোগাযোগের জন্য এতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না। ফলে এতে সহজে নজরদারি করা সম্ভব হয় না। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তীব্র আন্দোলনের মুখে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এরকম পরিস্থিতিতে কথোপকথন চালিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্রিজফাই। এরআগে হংকংয়ের আন্দোলনকারীদেরও এই অ্যাপ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কাজ করে ব্রিজফাই। অর্থাৎ যে যে স্মার্টফোনে অ্যাপটি আছে সেগুলো পরস্পরের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিস্তৃত অঞ্চলব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ফলে দুজন ব্যবহারকারী নিজেদের ব্লুটুথ সংযোগ সীমার বাইরে থাকলেও অন্য ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে বার্তা পৌঁছে দেয়। তবে ১০০ মিটার বা ৩৩০ ফুটের মধ্যে থাকতে হবে। ভারতের বিক্ষোভের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন নিহত ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া সহস্রাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী’ বাহিনীর সদস্যারা। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর প্রদেশ কর্ণাটকের বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানুষের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বিক্ষোভ চলছে। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরে বিক্ষোভে পুলিশের গুলি চালালে দুজন এবং উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে একজনের মৃত্যু হয়।
হংকংয়ের মতো ভারতের আন্দোলনেও ব্লুটুথ
0
Share.