ঢাকা অফিস:করোনাকালে স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির পণ্য যেন এক বিরাট স্বস্তির জায়গা। তাই কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা। টিসিবির অনুরোধের পরও বিক্রি কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা রোধে মাঠ প্রশাসনের কোনো সহযোহিতা পাচ্ছেন না ডিলাররা।মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাজধানীর খামারবাড়িতে কড়া রোদে দীর্ঘ লাইন-কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। তাদের অপেক্ষা ট্রাক আসারও ঘণ্টাখানেক আগে থেকে। করোনায় কেউ চাকরি হারিয়েছেন, কারও কমেছে আয়ের সুযোগ। সংসারের খরচ মেটাতে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে মাসের পর মাস। তখন সুলভমূল্যের পণ্য নিয়েই ঘরে ফিরতে চান স্বল্প আয়ের মানুষেরা।ভোক্তারা বলেন, সবাই তো বিপদে পড়ে আসে। দোকানে পণ্যের দাম বেশি। অনেকেরই চাকরি নাই।প্রথম দিন পণ্য না পেয়ে ঘুরে গেছেন অনেকেই। তাই শেষ পর্যন্ত পণ্য হাতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকেন ভোক্তারা। এরই মধ্যে রয়েছে নিয়ম ভঙ্গের নানা অভিযোগ।ভুক্তভোগী ক্রেতারা বলেন, পরিচিত লোকদের লাইনে আগে ঢোকানো হচ্ছে। ১০ টাকা করে বেশি নিয়ে অন্যদের আগে পণ্য দেওয়া হচ্ছে।তারা বলেন, যদি এখানে পুলিশ মোতায়েন থাকত তাহলে অনিয়ম হতো না।করোনাকালে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও তার কোনো দেখা নেই ট্রাকের আশপাশে। টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, পুলিশ সহযোগিতার জন্য কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমাদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাবে।টিসিবির এবারের বিক্রি কার্যক্রম চলবে আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত। প্রতিদিন প্রতিটি ট্রাকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ৬০০ কেজি মসুর ডাল, ৮০০ কেজি চিনি ও ১ হাজার ২০০ লিটার সয়াবিন তেল।এদিকে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাজধানীর সড়কে দীর্ঘ যানবাহনের জট দেখা গেছে। বোঝার উপায় নেই যে সোমবারই (৫ জুলাই) দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।ষষ্ঠতম দিনে নগরীর সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত যানবাহন আর রিকশার দাপট বেড়েছে। একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতিতে বিধিনিষেধ মনিটরিংয়ে হিমশিম খেতে হয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে।জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেককেই দেখা গেছে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করতে। মুখে ছিল না মাস্ক। ব্যক্তিগত গাড়িতে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনও করেছেন অনেকে। আবার অনেকেই গাদাগাদি করে সিএনজি অটোরিকশায় চলাচল করছেন।রাজধানীবাসীর এমন অসচেতনতা করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলার শঙ্কা জাগাচ্ছে। তাই নগরীর মোড়ে মোড়ে, সড়কে টহলের পাশাপাশি মাইকিং করে নগরবাসীকে সচেতন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে চলমান বিধিনিষেধ চলবে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত।
টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা,গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে লাইন!
0
Share.