ঢাকা অফিস: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। এর আগে গণটিকাদান কর্মসূচি ঘোষণার সময় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে, বর্তমানে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৩২ লাখে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়াও এর আগে বলা হয়েছিল, ১৮ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে, ছয় দিনব্যাপী বর্তমান কর্মসূচিতে ২৫ বছর এবং এর বেশি বয়সীরা টিকা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস)-এর সভাকক্ষে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছিলেন, ৭ আগস্ট সারা দেশে সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা কার্যক্রম চলবে। ১০ ও ১২ আগস্ট জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করোনার টিকা কার্যক্রম চলবে।স্বাস্থ্যের ডিজি জানান, যাঁরা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন, সেখানে টিকা নেবেন। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে।
টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর
১৮ বছর বয়সীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এ কারণে টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ না করে ২৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।এ বি এম খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে প্রদানে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে টিকার ঘাটতি থাকলেও সবাইকে টিকা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯৯ হাজারের অধিক মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।