মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এনএসইউ

ঢাকা অফিস:  করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পরায় প্রায় ১৭ মাস সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন তছনছ। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে ইতোমধ্যে পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চাকরি হারাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষাস্তরের শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারীরা। শিক্ষার্থীর পরিবারও ভুগছে আর্থিক সংকটে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেশের অন্যতম বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাঙ্গন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ)। মহামারিতে কেবল অনলাইন শিক্ষাতেই সফল নয় প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে ব্যাপক আর্থিক সহায়তা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে নর্থ সাউথ পরিবার। মহামারির কারণে চাকরিচ্যুত হয়নি কেউ, বন্ধ হয়নি বেতন ভাতা, এমনকি স্বাভাবিক সময়ের মতোই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পেয়েছেন বোনাস।আর্থিক সহায়তা, টিউশন ফি মওকুফ, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পড়ালেখা করার সুযোগ দেয়াসহ ব্যতিক্রমী সব সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টিতে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৯৩ সালে সাল থেকে (স্প্রিং সেশন) এখন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ২২৩ কোটি টাকা, যা দেশের যে কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উদাহরণ।উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ১২ মাসে করোনাকালে তিন সেমিস্টারে সকল শিক্ষার্থীর জন্য নির্দিষ্ট পরিমানে ফি মওকুফ করা হয়েছে। স্টুডেন্ট-এক্টিভিটি ফি শতভাগ মওকুফ করা হয়েছে। মোট ফিসহ মওকুফের পরিমাণ ২০ শতাংশ। মেধাবী ও অভাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি হিসাবে ১৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী তাদের বাবা-মা হারিয়েছে তাদের জন্যও বিশেষ বৃত্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।জানা গেছে, ২০০১ থেকে অদ্যাবধি মোট ৪০ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিটি সেমিস্টারে ব্যক্তিগত অনুদান সহায়তা দেয়া হয়েছে। যার পরিমান প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা। করোনা মহামারির মধ্যে ‘কোভিড স্পেশাল’ ফি মওকুফ হিসেবে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ১১৫ কোটি টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে।২০১০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ কার্যকরের পর এখন পর্যন্ত এনএসইউতে এক হাজার ৩৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে।করোনায় বাবা-মা হারিয়েছেন এমন ৫৪ জন শিক্ষার্থীকে মহামারির বিশেষ কেস হিসেবে দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা।এদিকে ইউজিসি ও এনএসইউ’র আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত তথ্যে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি আর্থিক সহায়তাদানকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নর্থ সাউথ। অথচ ভর্তি, টিউশন ফিসহ কোন ফিই-নর্থ সাউথে সর্বোচ্চ নয়।