ঢাকা অফিস: মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ দ্বিতীয় দিনে আবারও শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টার পর সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ ধার্য্য রয়েছে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) মামলার বাদী ও প্রধান সাক্ষী নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আসামি পক্ষের ৯ জন আইনজীবী। বিকেল সোয়া ৪টা নাগাদ এই সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আবার শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার ১নং আসামি বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও ২ টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে আজ মঙ্গলবার জেরা করবেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সোমবার (২৩ আগস্ট) সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনে ৫ জন সাক্ষী হাজিরা দেন। কিন্তু দিনব্যাপী একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণও সমাপ্ত হয়নি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা ৩ দিন বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সরকার গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ নতুন করে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন কিছুক্ষণের মধ্যে যথা সময়ে বাদীসহ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (১৬ আগস্ট) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে আদেশ জারি করেন। তিনি আরও বলেন, গত জুলাই মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ এই মামলার অ্যাডভোকেট তারিখ নির্ধারণ ছিল। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার-ঘোষিত লকডাউনের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওই তারিখে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যায়নি। মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলে, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। উল্লেখ্য, মামলায় মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ১৫ জন আসামি আদালতে হাজির থাকবেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন আসামিরা সকলেই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
সিনহা হত্যা, দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
0
Share.