ঢাকা অফিস: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক ধাপে বাড়িয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, অবসান হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন কেবল সহনীয় পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জাকির হোসেন আরও বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৫ ভাগ শিক্ষককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। বাকি ১৫ ভাগ শিক্ষককেও দ্রুত দেওয়া হবে। বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। তবে কবে নাগাদ খুলবে এটা বলা মুশকিল। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমতো স্কুল খোলা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল খুললেও সব ক্লাস একসাথে নেওয়া হবে না। সপ্তাহের মধ্যে ভাগ ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হবে। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এরই মধ্যে একে একে গত বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এইচএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষাও বাতিল করা হয়। সবশেষ প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সর্বশেষ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সাধারণ ছুটি বিদ্যমান। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দাবি সবচেয়ে বেশি জোরালো। এমতাবস্থায় গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে
0
Share.