ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিপাইনে টাইফুন ফানফোনের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। বুধবারের (২৫ ডিসেম্বর) টাইফুনের আঘাতে দেশটির মূল ভূখণ্ডে ও ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় পর্যটন এলাকায় বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর মেরামতে জোর তৎপরতা চলছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টাইফুন ফানফোনের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। প্রচণ্ড ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট ও ফোন নেটও বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্যোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তীব্র ঝড়ের কারণে গাছের নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও পানিতে ডুবেও কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। চলতি বছর ফিলিপাইনে এ নিয়ে সাতবার টাইফুন আঘাত হেনেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র মার্ক তিমবাল বলেছেন, ‘মানুষ ভাবতে পারেনি এই টাইফুন এতো বেশি বিধ্বংসী হতে পারে।’ যদিও এ বছরের অন্যান্য টাইফুনের তুলনায় ফানফোন কম শক্তিশালী ছিল। তারপরও এই ঝড়ের জেরে দেশটির কিছু অনুন্নত দ্বীপে ভূমিধস হয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে বছরে গড়ে ২০টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্রতি বছরই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। ২০১৩ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে দেশটিতে সাত হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।