যত অবৈধ রাইফেল, তলোয়ার সব তো আওয়ামী লীগের হাতে: রিজভী

0

ঢাকা অফিস: ‘নির্বাচনে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনারা রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন’-প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ কথা কীভাবে বলতে পারেন। যত অবৈধ রাইফেল, তলোয়ার সব তো আওয়ামী লীগের হাতে। ভোটাররা তো তলোয়ার, রাইফেল নিয়ে যান না। ভোটাররা তাদের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই অধিকার হচ্ছে কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে। তারা এই নিশ্চয়তা চান। সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আন্দোলনে গুম, খুন হওয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন এর আয়োজন করে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে প্রমাণিত হচ্ছে, তিনি শেখ হাসিনার খাস মানসিক সন্তান। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গোটা দেশটাকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল বানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে বসিয়েছেন। তারা এখন তারই (হাসিনা) প্রতিনিধিত্ব করছেন। রিজভী বলেন, এই নির্ববাচন কমিশনার শেখ হাসিনার একেবারে নিজস্ব ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করছে। এটাই তিনি (সিইসি) প্রমাণ দিচ্ছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভিন্ন ধরনের নীল নকশা করেছে। আর এই নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সঙ্কটের বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে জ্বালানি কেনার টাকা নেই। বিদ্যুৎ নেই। ব্যাংকের টাকা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা বিদেশে পাচার করেছে।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দলীয় সরকারের অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন তখন সুষ্ঠু হবে যখন নির্দলীয় সরকার গঠন করা হবে। বিএনপি সেই লক্ষ্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর নেতিবাচক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফৎ আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Share.