ঢাকা অফিস: সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে পৃথক সময়ে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্রবাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার দেয়। পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছানোর পর সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাদের স্বাগত জানান।। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান যেখানে তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনা এএফডিতে পৌঁছালে পিএসও এবং এএফডির মহাপরিচালকরা তাকে স্বাগত জানান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এ দিনটিকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
সশস্ত্রবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
0
Share.