ডেস্ক রিপোর্ট: সঠিক নিয়মে হিজাব পরিধান না করে বাইরে আসায় কিছুদিন আগে ইরানের নীতি পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয় ২২ বছর বয়সী কুর্দী তরুণী মাহসা আমিনি। পরে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার এমন মৃত্যুতে ইরানজুড়ে উঠে বিক্ষোভের ঢেউ। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের পর অবশেষে বাতিল করা হলো দেশটির ‘নীতি পুলিশ’। দেশটির স্থানীয় মিডিয় রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজেরির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, ‘বিচার বিভাগের সঙ্গে নৈতিকতা পুলিশের কোন সম্পর্ক নেই এবং এটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। জাফর মনতাজেরি এক ধর্মীয় সম্মেলনে উপস্থিত থাকার সময় একজন অংশগ্রহণকারী তার কাছে ‘কেন নীতি পুলিশ বন্ধ করা হচ্ছে?’ জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে গাশত-ই এরশাদ বা ‘গাইডেন্স পেট্রোল’ নামে পরিচিত ইরানের নীতি পুলিশ কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এর অধীনে ‘শালীনতা এবং হিজাবের সংস্কৃতি’ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারা ইরানের মহিলাদের জোরপূর্বক হিজাব পরিধানে বাধ্য করতো। নীতি পুলিশের ইউনিটগুলি ২০০৬ সাল থেকে টহল শুরু করে। নারীদের মাথা ঢেকে রাখতে হবে এমন আইন পরিবর্তন করা দরকার কিনা তা নিয়ে ‘সংসদ এবং বিচার বিভাগ উভয়ই কাজ করছে (ইস্যুতে)’। মন্তাজেরি এ কথা বলার পরদিনই নীতি পুলিশ বিলুপ্তির ঘোষণা আসে। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া মন্তব্যে বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ও ইসলামিক ভিত্তি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তবে সংবিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি রয়েছে যা নমনীয় হতে পারে।
বাতিল হলো ইরানের ‘নীতি পুলিশ
0
Share.