ঢাকা অফিস: রাত পোহালেই টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন। প্রতিবছর ধর্মীয় এই সমাবেশে সমবেত হন লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এদিকে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের আসর। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে মূলপর্ব শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর।
কে কখন বয়ান করবেন:
বৃহস্পতিবার: যোহরের পর মাওলানা রবিউল হক, আসরের পর মাওলানা ফারুক, মাগরিবের পর মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা (বাংলা অনুবাদ, মাওলানা জোবায়ের আহমদ ও আরবি অনুবাদ, মাওলানা আব্দুল মতিন) বয়ান করেছেন।
শুক্রবার: ফজরের পর বয়ান করবেন, মাওলানা জিয়াউল হক রায়বেন্ড, মুআল্লিমিনদের সঙ্গে মোজাকারা মাওলানা জিয়াউল হক। বাদ জুমা বয়ান করবেন মাওলানা ইসমাইল গুদরাহ। বাদ আসর বয়ান মাওলানা যুবাইর আহমদ, বাদ মাগরিব মাওলানা আহমদ লাট (বাংলা অনুবাদ, মাওলানা ওমর ফারুক)বয়ান করবেন।
শনিবার: বাদ ফজর বয়ান করবেন মাওলানা খুরশিদুল হক রায়বেন্ড। বাদ জোহর ভাই ওমর ফারুক, বাদ আসর মাওলানা জুহাইরুল হাসান, বাদ মাগরিব মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা (বাংলা অনুবাদ, মাওলানা জুবায়ের আহমদ) উলামাদের বিশেষ বয়ান উদ্দেশ্যে বয়ান মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা এবং ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বয়ান মাওলানা খুরশিদুল হক রায়বেন্ড বয়ান করবেন।
এছাড়া রবিবার সকাল সাড়ে সাতটায় হিদায়াতি বয়ান করবেন মাওলানা আবদুর রহমান (বাংলা অনুবাদ, মাওলানা আব্দুল মতিন)। নসিহত করবেন মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা (বাংলা অনুবাদ মাওলানা জুবায়ের আহমদ। আর দোয়া পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের আহমদ।
এদিকে ইজতেমা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা বলয় ও বিভিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে ইজতেমার প্রস্তুতি উপলক্ষে ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় কোনো রকম অবহেলা পাওয়া গেলে চাকরি থাকবে না। এসময় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।’ পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দুই বছর পর আবার ইজতেমা হচ্ছে। এখানে লাখো মানুষ আসবেন। আমাদের কাজ হলো যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে কেউ যদি কোনো কারণে তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে বা নিয়মের ব্যত্যয় হয়, তবে আমি বলছি, তোমরা চাকরিটা হারাবা।’ অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ইজতেমা উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্ততির কথা জানানো হয়। সংস্থাটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, পুরো ময়দান আমাদের ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সির আওতায় আনা হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ময়দানের প্রতিটি খিত্তায় (স্থানে) ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হুক, ফায়ার বিটারসহ দুজন ফায়ার ফাইটার দায়িত্ব পালন করছে। তুরাগ নদীসহ ময়দানের চারপাশে ১৪টি পোর্টেবল পাম্প আছে। তিনি বলেন, ময়দানের বিভিন্ন স্থানে চারটি পানিবাহী গাড়ি, রোগী পরিবহনে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স, সহজে বহনযোগ্য স্পিড বোট, পিকআপে ডুবুরীদল, বেশ কয়েকটি টু হইলার, ১৩টি জেনারেটর এবং লাইটিং ইউনিট মোতায়েন থাকছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬১ জন কর্মকর্তা ও ফায়ার ফাইটার মোতায়েন এবং ময়দানে ফায়ার কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও টঙ্গী, উত্তরা ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।