ডেস্ক রিপোর্ট: তুরস্কের সেনারা সিরিয়ায় অবস্থান করবে। এটা করেও যদি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপদ না হয় তাহলে প্রয়োজন হলে সিরিয়ার আরও অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে। শনিবার এমন সংকল্পের কথা জানান তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। ইস্তাম্বুলে একটি অনুষ্ঠানের সময় এরদোগান বলেন, তুরস্ক বর্তমানে তার দক্ষিণ সীমান্ত নিয়ে চিন্তা করছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন থেকে চলমান রণনীতিই বদলে গেছে সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তুরস্কের বিশাল আকারের সেনা অভিযানের পর। মার্কিন সেনাদের সরে যাওয়ার পরে কুর্দী মিলিশিয়াদের কাছ থেকে সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকার দখল নিয়ে নেয় তুরস্ক এবং তাদের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র বাহিনীগুলো। অন্যদিকে প্রাণ রক্ষা করতে চিরশত্রু বাশার আল আসাদের সঙ্গে হাত মেলাতে বাধ্য হয় কুর্দিরা। আইএস বিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল এই কুর্দিরাই। তবে কুর্দি মিলিশিয়াদের বরাবরই সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। এরদোগান বলেন, ‘সিরিয়ার এই ইস্যুতে আমরা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্প।‘ সম্প্রতি লিবিয়াতেও তার প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা করছে তুরস্ক। দেশটিতে চলমান বিবাদের মধ্যেই সেখানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের সাথে একমত দেশটির পার্লামেন্ট। এরদোগান বলেন, ‘তুরস্ক লিবিয়াতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তাদের অধিকার অর্জন করে নেয় এবং তুরস্কের ৫০০ বছরের পুরনো বন্ধু লিবিয়ার জনগণের মতে আইনসম্মত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়।’
সিরিয়ার আরও ভেতরে সেনা প্রবেশের হুমকি দিলেন এরদোগান
0
Share.