ঢাকা অফিস: দশ পণ্য আমদানির এলসি খোলার শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ব্যবহারিত মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার, ল্যাপটপের যন্ত্রাংশসহ এসব পণ্যের এলসিতে ব্যাংক–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করা যাবে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে গতবছরের জুলাইতে বিভিন্ন পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত মার্জিন নির্ধারণ করা হয়। শিল্প সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রাংশ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে– টেক্সটাইলের কাঁচামাল, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্য, প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং আইটেম ও এর কাঁচামাল, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক ও রিএজেন্ট, ইউপিএস বা আইপিএসের যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক পণ্য, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট পণ্য, নির্মাণ সংশ্লিষ্ট স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা পণ্যের সম্পূরক হার্ডওয়্যার, স্টিল শিট, এইচ-বিম, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ, তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইন্টারনেট, সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট হার্ডওয়্যার, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, টায়ার, টিউব ও এতদসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য। সার্কুলারের আরও বলা হয়েছে, কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের বাণিজ্যিক আমদানিকারকের মাধ্যমে আনা পণ্য সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসা প্রসারের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এধরনের পণ্য অর্থনৈতিক গতি বাড়ানোসহ কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সে বিবেচনায় সিএমএসএমই ও অন্যান্য খাতের বাণিজ্যিক আমদানিকারকের মাধ্যমে আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে নগদ মার্জিন সংরক্ষণের হার নির্ধারণ করা যাবে। ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আমদানি শুল্ক বাড়ানো, শতভাগ পর্যন্ত এলসি মার্জিন নির্ধারণ, নিয়মিতভাবে এলসির তথ্য তদারকি করা হচ্ছে। মূলত বিলাসী পণ্য আমদানি কমাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ডলারের সঙ্কটের প্রভাবে এখন দেখা যাচ্ছে–মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমছে বেশি। দেশের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতির কি অবস্থা তা বুঝতে এ দু’টি বিষয়কে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
দশ পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিনের শর্ত শিথিল
0
Share.