শনিবার, নভেম্বর ২৩

নির্বাচনে কোনও প্রকার ইনফ্লুয়েন্স করবেন না: ইশরাক

0

ঢাকা অফিস: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করার জন্য আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি যতটুক জানি উনি (তাপস) একজন সজ্জন ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, নির্বাচনে কোনও প্রকার ইনফ্লুয়েন্স করবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এরপরে নির্বাচনি ফল যা হবে, আমরা তা মেনে নেবো। কিন্তু কারচুপি হলে জনগণ কোনও ভাবেই সেটা মেনে নেবে না।’  শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গোপীবাগের নিজ বাসায় নির্বাচনি কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন বলে বিএনপির নির্বাচনি প্রচার সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ইশরাক বলেন, ‘কোনও প্রার্থী বা পরিবারের প্রভাব পড়বে না নির্বাচনে। কারণ, দেশটা কারও পারিবারিক সম্পত্তি না।’ ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘আমার পাশে এখনও মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। উনার নাম আমিনুল ইসলাম, উনি ৫৬ নং ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর এলাকার আমাদের একজন কর্মী। তিনি গতকাল শুক্রবার ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। আর কে তা অস্বীকার করলো না করলো সেটাতে কিছু যায় আসে না। বাস্তবতা তো থেকেই যায়। তার মতো আরও অনেককেই আহত করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের ৪১ নম্বর কাউন্সিলর প্রার্থীকেও ফিজিক্যালি আহত করা হয়েছে। আমি এ বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। তারপরও বলবেন অভিযোগ সঠিক নয়?’ দেশটা কারও জমিদারি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরাও কারও কথার পরোয়া করি না। উনারা কী বললেন, না বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না। যেটা দৃশ্যমান, সেটা আপনারা তো দেখছেন। এটা আমাদেরও দেশ। এখানে কারও জমিদারি চলবে না। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার।’ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের পরিবারের সদস্য ও প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থীর প্রভাব খাটানোর সম্ভাবনার প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি, এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমার প্রতিপক্ষ কোন পরিবারের সেটা আমি বড় করে দেখতে চাই না। কারণ এই দল থেকে যারা মনোনয়ন পাবে, সবাই তো দলের অবৈধ সুযোগ সুবিধা পাবে। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা তো রাষ্ট্রযন্ত্র দলীয়করণ করেছে। আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করবো।’ ভোটারদের সাড়ার প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম দিকে প্রচারে তারা আমাদের বলেছিলেন, আমরা কী ভোট দিতে পারবো? তারা গত নির্বাচনের আলোকে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এবার যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তারা নিজেরাই সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন এবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র পাহারা বলতে কোনও কিছু নেই। কেউ যদি বলে থাকে সেটা ইনফরমাল ল্যাঙ্গুয়েজে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়। এবারও আমরা সেটা করব। এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা নিযুক্ত থাকবেন, তারা সততার  সঙ্গে এবং জনগণের সঙ্গে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি। কারণ তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে জনগণের প্রতি। তারা কোনও দলীয় ক্যাডার বাহিনী নয়। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। আমরা আশা করছি সবার সার্বিক সহযোগিতায় একটা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’

Share.