বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: প্রতি বছরই শেষ সূর্যাস্ত ও প্রথম সূর্যোদয় উপভোগ করতে বরাবরই কুয়াকাটায় আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকদের। আর এ উপলক্ষে বাড়তি চাপ তৈরি হয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। তবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর হোটেল-মোটেল ও ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতি থাকলেও তেমন সারা নেই পর্যটক আগমনের। তাই হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকাল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পট সহ বিভিন্ন স্থানকে রঙ্গিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে বেশীরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করে রেখেছেন তবে কাঙ্ক্ষিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বেশীরভাগ হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটের কাছাকাছি কোনো সরকারি বন্ধ না থাকা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণীর হোটেলগুলোতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর হোটেলগুলোতে কোন প্রকার অগ্রিম বুকিং না থাকায় কাঙ্খিত পর্যটক থেকে বঞ্চিত হবার শঙ্কা পর্যটক ব্যবসায়ীদের। হোটেল সৈকতের সত্বাধিকারী শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের ধাক্কায় থার্টি ফার্স্টের মত বড় বাজারেও আমরা লোকসান দিচ্ছি। এই মুহুর্তে আমাদের রুম খালি যাচ্ছে যা করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম। হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানিয়েছেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তারমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে তবে আকাঙ্খার ২০ শতাংশও বুকিং হচ্ছে না। যে কারনে হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেয়া ২৬টি পেশার মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ডিসেম্বর জুড়ে পর্যটকদের চাপ। তবে বর্তমানে কিছুটা কম তারপরেও সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। যাতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন,আসলেই প্রতিবারের ন্যায় আজকে পর্যটক অনেক কম। জামাত-বিএনপি’র হরতাল-অবরোধে রানৈতিক অস্থিরতার জন্য থার্টি ফাস্ট নাইতেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাস।
কুয়াকাটায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে নেই তেমন পর্যটক, হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা
0
Share.