ডেস্ক রিপোর্ট: দখলদার ইসরায়েলের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের পরও রমজানের শেষ শুক্রবারে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বিভিন্ন জায়গায় চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছিল ইসরায়েলিরা। ওই সময় মসজিদগামী মুসল্লিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালায় তারা। ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, আজ ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১১ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আল-আকসায় যেতে দেয়নি তারা। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে আজ আল-আকসা মসজিদের বাইরে স্লোগান দেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তখন তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের পুলিশ বাহিনী। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে আল-আকসায় মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু সাধারণ মানুষ এতে ভিষণ ক্ষিপ্ত হতে পারে এই ভয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধা দিতে রাজি হননি। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরই আল-আকসায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। তবে রমজান আসার পর আর তারা বাধা প্রদান করে রাখতে পারেনি। রমজানের প্রথম জুমায় ৮০ হাজার মুসল্লির সমাগম হয় পবিত্র এ মসজিদে। এরপর আরও যে দুটি জুমা হয়েছে সেগুলোতে লাখেরও বেশি মুসল্লির সমাগম হয়েছে। তবে বিক্ষোভের ভয়ে তরুণদের মসজিদে যেতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।
রমজানের শেষ শুক্রবারে ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লির আল-আকসায় নামাজ আদায়
0
Share.