ফটোগ্রাফির প্রতি মানুষের মনোযোগ বাড়ানো আমার লক্ষ্য : আক্তার হামিদ খান

0

বিনোদন ডেস্কঃ  আক্তার হামিদ খান জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন আমেরিকা প্রবাসী ফটোগ্রাফার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেয়েছেন অনেক কাজের স্বীকৃতি। পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, পেয়েছন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন সেরা ফটোগ্রাফার-এর পুরস্কার। পেয়েছেন বেস্ট ফটোগ্রাফার ফটোগ্রাফর অব দ্যা ইয়ার পুরস্কার। আক্তার হামিদ খান দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে। পল্লীমা সংসদ আয়োজিত তরুন ফেটোগ্রাফার প্রতিযোগিতায় (২১ ফেব্রুয়ারি-২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) তারিখ পর্যন্ত আক্তার হামিদ খান ছিলেন অন্যতম বিচারক। তার ঝুলিতে আছে আরও অনেক অর্জন। আজকে কথা বলব তার সাথে।

প্রশ্ন: সরাসরি কাজের কথায় চলে যাই। আপনি প্রায় দুই যুগ ধরে ফটোগ্রাফি করছেন, সাউথ এশিয়ান ফটোগ্রাফির কোনো বিশেষ প্যাটার্ন আছে কি?
সুন্দর প্রশ্ন। সত্যি সত্যি আমাদের এই দিকের (সাউথ এশিয়া) মানুষ জন্য কিন্তু একটু ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড। তারা সব সময় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়। পরিবারের আনন্দে আনন্দিত হয়, পরিবারের কষ্টে কষ্ট পায়। এই বিষয়টা সাউথ এশিয়ার পেইন্টিং এবং ফটোগ্রাফিতেও খুব প্রমিনেন্ট দেখা যায়। আমাদের সব কিছুই একটু আবেগ নির্ভর।

প্রশ্ন: আপনার ফটোগ্রাফিতেও কি তাই আছে?
হ্যা, আমি সব সময় মানুষ এবং প্রকৃতির কথা বলতে চাই। আমার সব ছবিতে দেখবেন প্রকৃতি এবং মানুষের এবং সংমিশ্রন আছে। আমার যে ছবিটি সম্পতি পুরস্কার পেল সেখানেও আপনি দেখবে প্রকৃতি আছে।

প্রশ্ন: আপনার দৃষ্টিতে ভালো ফটোগ্রাফির মূল শক্তি আসলে কী?
ভালো ফটোগ্রাফির প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনি কেন ছবিটা তুলছেন সেটা ঠিক করা। এর আগে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ভালো সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সেগুলো ভালো ভাবে পরিচালনা করার বিষয়টা আয়েত্তে আনতে হবে। তারপর আপনাকে সময় নির্ধারন করতে হবে, এক একটা সময় এক এক ধরনের ছবির জন্য ভালো। তাই সময় এবং স্থান নির্ধারন করা জরুরি। আর যদি ইন্ডোর হয় তাহলে পর্যাপ্ত আলো এবং আয়োজন আছে কি না সেটা দেখতে হবে। তারপর সাহস করে ছবিটি তুলে ফেলতে হবে। এখন ডিজিটাল ফটোগ্রাাফির সময় তাই ভয় পেলে হবে না। একটার জায়গায় একশটা ছবি তুললেও এখন চিন্তার কিছু থাকে না। সবশেষ কাজ হচ্ছে, এডিটিং। অনেকেই এডিটিং এর কথা বলতে লজ্জা পায়। কিন্তু এটা মানতে হবে যে ভালো ছবির জন্য ভালো পোস্টপ্রডাকশন ওয়ার্ক-ও জরুরি।

প্রশ্ন: আপনি দেশের ফটোগ্রাফিক সোসাইটির পাশাপাশি ‘ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব আমেরিকার’-ও সদস্য। সেখানে কেমন ফটোগ্রাফি দেখছেন?
আমার বেশ কয়েক জন বন্ধু আছে আমেরিকাতে যারা ভালো ফটোগ্রাফি করে। আমার একটা অ্যাক্সিবিশনও হয়েছিল নিউইয়র্কে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফটোগ্রাফার হিসেবে আমেরিকানরা অনেক প্র্যাকটিক্যাল, অনেক বাস্তব বাদি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে আপনার ফটোগ্রাফির অনেক ভক্ত আছে, আপনার অনেক অনুসারি আছে, এক কথায় আপনাকে আধুনিক ফটোগ্রাফির ‘ট্রেন্ড সেটার’ বলা যেতে পারে। আপনি একাধিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশের তরুনদের ফটোগ্রাফির ধরন কেমন?
আমাদের তরুনরা অনেক ক্রিয়েটিভ এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কিন্তু তারা খুবই অস্থির। তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করছে কিন্তু তারা লেগে থাকতে পারছে না। তাদের ধৈর্য অনেক কম। সোসাল মিডিয়া ফটোগ্রাফির পাবলিসিটির জন্য অনেক বড় একটা মাধ্যম, তাই তাদেরকে আমাদের মেতো স্ট্রাগল করতে হচ্ছে না।

প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমি একটা ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট করতে চাই। দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় তার শাখা থাকবে। তরুন সদস্যদের ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গল পর্যন্ত পৌছে দিতে সহযোগিতা করবে এই ইন্সটিটিউট। আমার স্বপ্ন সবাই মনোযোগ দিয়ে ফটোগ্রাফি করবে, হুটহাট করে না।

Share.