অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপে বিপর্যস্ত ইতালি

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইতালির দ্বীপ লাম্পেদুসায়র জরুরি আশ্রয় শিবিরে এখন অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়৷ ওই আশ্রয় কেন্দ্রটিতে ধারণ ক্ষমতা চারশো৷ কিন্তু এখন সেখানে আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৪২৫ জন। গত রবিবার পাঁচটি ধাপে ইতালির দ্বীপ লাম্পেদুসায় পৌঁছেছেন ৩৩৮ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। এর আগের দিন শনিবার লাম্পেদুসায় আসে অভিবাসীবাহী সাতটি নৌকা৷ নৌকাগুলোতে মোট ৪৯৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন৷ তারা লিবিয়ার জওয়ারা, সাবারথা, ত্রিপোলি ও তাগিউরা থেকে রওনা হয়েছিলেন৷ আশ্রয়কেন্দ্রের ভিড় সামাল দিতে শনিবার সন্ধ্যায় লাম্পেদুসা থেকে ৩৪৯ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে যাওয়া হয় ইতালির মূল ভূখণ্ড সিসিলিতে৷ শনিবার সমুদ্র পথে ইতালির সিসিলিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আসেন এক হাজার ৩২৬ জন অভিবাসন প্রত্যাশী৷ ২৩টি আলাদা আলাদা ধাপে অভিবাসীরা সেখানে পৌঁছেছেন৷ চলতি বছর ইতালির উপকূলে ভিড় করছেন হাজারো অভিবাসী৷ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী এসেছেন ইতালির উপকূলে৷ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যাটি প্রায় চারগুণ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইতালি সরকার। অভিবাসীদের চাপ সামাল দিতে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় লাম্পেদুসা দ্বীপের জরুরি অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বীপের আশ্রয় ও অভ্যর্থনা কাঠামোতে আরও নতুন ৮৫০টি স্থান যুক্ত হবে। দেশটির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, ইতালিমুখী অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই লিবিয়া এবং তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে রওনা হচ্ছেন৷ লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ মিশর, মরক্কো, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সিরিয়া, ইথিওপিয়া এবং ফিলিস্তিনের নাগরিক৷ আরও আর তিউনিশিয়া থেকে যারা আসেন তাদের বেশিরভাগই আইভরি কোস্ট, ঘানা, গাম্বিয়া, মালি ও সুদানের নাগরিক৷

Share.