আজ আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস

0

ঢাকা অফিস: আজ আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস । বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ২০১১ সালে গৃহপরিচারিকা/পরিচারকদের কাজকে শ্রমিকের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কনভেনশন ১৮৯ প্রকাশ করে। পরে ১৬ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে এই কনভেনশনটি গৃহীত হয়েছে। গৃহশ্রমিকরে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও গত বছর করা বিলসের জরিপ বলছে, সংখ্যাটি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাদের ৯৫ ভাগের বেশি নারী ও মেয়েশিশু। নিয়োগকারীর সঙ্গে ৯৯ শতাংশের বেশি গৃহশ্রমিকের কোনো লিখিত চুক্তি নেই। করোনাকালে ২৮ দশমিক ২ শতাংশ গৃহশ্রমিকের মজুরি কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার আগেও গৃহকর্মীদের অবস্থা নাজুক ছিল। তারা শ্রমিক হিসেবে কখনো স্বীকৃতি পাননি। ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’ এর আওতাবহির্ভূত রাখায় তারা মানবিক অধিকার, শোভন কর্মপরিবেশ, ন্যায্যমজুরি, সামাজিক সুরক্ষা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত। বেশির ভাগ গৃহকর্মীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের কনভেনশনে গৃহশ্রমিকের অধিকার ও কাজ সম্পর্কে যে বিষয়গুলোর উল্লেখ রয়েছে– কাজের জায়গায় সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, গৃহশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি থাকবে, তাদের ইউনিয়ন তৈরির অধিকার থাকবে, নিয়োগকারী ও শ্রমিকদের মধ্যে চুক্তিপত্র থাকবে, নির্দিষ্ট ছুটি থাকবে, শিশুশ্রমিক না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, সময়মতো বেতনের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যৌন হেনস্তার মতো ঘটনা প্রতিরোধের যেন ব্যবস্থা থাকে ইত্যাদি।

 

 

 

 

 

Share.