এক বছর বালি দিয়ে দাঁত মেজেছেন চঞ্চল চৌধুরী!

0

বিনোদন ডেস্ক: ‘মনপুরা’ দিয়ে বাজিমাত করা চঞ্চল চৌধুরী তার জনপ্রিয়তায় ঢেউ সর্বত্র ছাড়িয়ে দেন ‘আয়নাবাজি’র মাধ্যমে। এরপর আরও একবার দর্শকের নজর কাড়েন ‘দেবী’র মাধ্যমে। ভার্সেটাইল অভিনেতার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘পাপপূণ্য’। শুক্রবার দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে চঞ্চল অভিনীত নতুন সিনেমা ‘হাওয়া’। মাঝসমুদ্রে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার ঘাতপ্রতিঘাতে গন্তব্যহীন হয়ে পড়া একটি মাছ ধরা ট্রলারের আটজন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে এই সিনেমার গল্প অবর্তিত হয়েছে। সেখানে ‘চাঁন মাঝি’ চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চলকে। নিজের এই চরিত্রটি ফুঁটিয়ে তোলার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। বৃহস্পতিবার ‘হাওয়া’র চাঁন মাঝি হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা চঞ্চল শেয়ার করেন একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। সেখানে অভিনেতা বলেন, ‘চরিত্রে দেখা যাবে চাঁন মাঝি পান খায়। ব্যক্তিজীবনে আমিতো কখনো পান খাই না। কিন্তু কী করার, ‘হাওয়া’র চাঁন মাঝির জন্য পান খাওয়া লাগবে। দাঁতগুলো যেন কালো থাকবে।’ চঞ্চল জানান, প্রথম সপ্তাহখানেক দাঁতের মেকআপ করলেও পরে খেয়াল করলাম গ্লুসহ অনেক কিছু ধীরে ধীরে পেটে প্রবেশ করে। এরপর ভাবলাম, মেকআপের পরিবর্তে যদি পান খাওয়ার পর প্রকৃতভাবে দাঁত কালচে হয়, তাহলে সুবিধা হবে। শুরু করলাম পান খাওয়া। প্রতিদিন ১৫-২০ টি পান খেতে হয়েছে। একপর্যায়ে এমন অবস্থা হলো, শুটিং না হলেও বসে বসে আমি পান খাই।’ আগে পান খাওয়ার অভ্যাস না থাকায় অবশ্য বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে এ অভিনেতাকে। গাল ছিলে খাবার খেতে সমস্যা হতো তার। ‘মনপুরা’র নায়ক বলেন, ‘সিনেমার শুটিং শেষ হলেও পান খেতে খেতে দাঁতে যে স্পট পড়েছিল, সেটি উঠাতে এক বছর সময় লেগেছে। সে সময়টাতে করোনা ছিল। তখন ঘরে বসে বসে দিনে দুই-তিনবার দাঁত পরিষ্কার করতে হয়েছে। তাড়াতাড়ি স্পট উঠানোর জন্য বালি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতাম প্রতিদিন।’ ‘হাওয়া’ পরিচালনা করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন। নাটক ও বিজ্ঞাপন বানিয়ে পরিচিতি পাওয়া এই নির্মাতার এটি প্রথম চলচ্চিত্র। এখানে চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও আছেন শরীফুল ইসলাম রাজ, নাজিফা তুশি, সোহেল মন্ডল, সুমন আনোয়ারসহ অনেকে।

Share.