এবছর পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা করেছি: আইনমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি যদি বলি এ বছরেই ৩০ লাখ মামলা নিষ্পত্তি করে ফেলবো এটা সম্ভব না। এবছর আমরা কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিচারিক আদালতের লোকবল নিয়োগের পরিকল্পনা করছি। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জুডিসিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সহকারী বিচারক এবং সমতুল্য বিচার বিভাগীয় জুডিসিয়াল কর্মকর্তাদের ৪০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি অবশ্যই আরও জোরদার করা হবে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, জনগণের কাছে এটার পরিচিতি সেভাবে গড়ে ওঠেনি। যেসব মামলা আপসযোগ্য সেই সব মামলায় যেন আদালত বলেন, এ মামলা বাইরে নিষ্পত্তি করে ফেলেন। সেই উদ্যোগ যেন আদালত থেকে নেওয়া হয়। সেই বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিচারকদেরও আমরা এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছি। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে আইনজীবীদের মতবিরোধ রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না আইনজীবীদের মধ্যে খুব একটা অনীহা রয়েছে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি যদি কার্যকর হতে থাকে এবং জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে, তাহলে আইনজীবীরা এটার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে থাকবেন বলে আমার মনে হয় না। গত ১০ বছরে জনগণের বিচার বিভাগের ওপর আস্থা বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং আইনসভা। সবার কাজের ধরন ভিন্ন হলেও লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক। সেই লক্ষ্য হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের সবাইকে এক লক্ষ্য এক প্রেরণায় কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিচারকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। আপনারা অন্যের অনুকরণীয় হবেন এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। সততার ভিত্তিতে চারিত্রিক দৃঢ়তার সঙ্গে আপনাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আপনাদের লোভ-লালসার কারণে সাধারণ মানুষের মনে যেন বিচার বিভাগ সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ক্ষোভ এবং হতাশা বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া না হয়। মনে রাখতে হবে আপনাদের বিচারক হয়ে ওঠার পেছনে দেশের গরীব-মেহনতী মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান রয়েছে। আপনাদের কর্মক্ষেত্র হচ্ছে এসব মানুষের শেষ ভরসাস্থল। চার মাস মেয়াদী ৪০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে মোট ৪৫ জন সহকারী বিচারক এবং সমতুল্য বিচার বিভাগীয় জুডিসিয়াল কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন ও সংসদ বিষয়ক সচিব গোলাম সারোয়ার, জুডিসিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ এবং কোর্স পরিচালক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

Share.