এবার কুকুর দিয়ে হবে ক’রোনা প’রীক্ষা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: এবার প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের রয়েছে বিশেষ এক ধরনের গন্ধ এবং সে কারণে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে এই ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব।তারা বলছেন, বেশি লোকজন ভিড় করে এ রকম জায়গায় এ ধরনের কুকুর কোভিডের বিস্তার ঠেকাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের গন্ধ মানুষের নাকে ধরা পড়ে না। কিন্তু প্রশিক্ষিত কুকুর সেটি খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারে। দেখা গেছে, বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে (ধরণ) আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যাদের খুব একটা উপসর্গ নেই তাদেরও তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে।কুকুরের এ পরীক্ষা যে একেবারে শতভাগ নির্ভুল তা কিন্তু নয়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর এসব কুকুর পজিটিভ কেস শনাক্ত করতে ৮৮ শতাংশ সফল হয়েছে। এর অর্থ প্রতি ১০০টি ঘটনায় তারা মাত্র ১২ জন আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেনি।তবে সব কুকুরই করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে পারবে না। এ জন্য তাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রশিক্ষিত কুকুর আলাদাভাবে করোনাভাইরাসের গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।গবেষণায় যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা হননি, কুকুরকে এ দুই ধরনের ব্যক্তির পায়ের মোজা শুকতে দেওয়া হয়। দেখা গেছে, কুকুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোজা আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারে।লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিজ্ঞানী প্রফেসর জেমস লোগান বলছেন, এ বিষয়ে কুকুরকে খুব দ্রুত প্রশিক্ষিত করে তোলা সম্ভব।তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের যে বিশেষ এক ধরনের গন্ধ আছে, সে বিষয়ে কুকুরকে খুব দ্রুত প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। পরে এসব প্রশিক্ষিত কুকুর যেসব ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাদের থেকে যেসব ব্যক্তি আক্রান্ত নন, তাদের থেকে আলাদা করতে পারে।আমরা দেখেছি, সবচেয়ে দক্ষ যে কুকুরটি সেটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। এ ফল সত্যিই খুব আশাপ্রদ ও উত্তেজনাকর।ইংল্যান্ডে এই কাজের জন্য ইতোমধ্যে ছটি কুকুরকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে। মানুষের পরিহিত মোজা, মাস্ক, টি-শার্টসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যখনই তারা করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সফল হয়েছে, তখনই তাদের উপহার হিসেবে খাবার দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের গন্ধ শোকার যে ক্ষমতা, কুকুরের ক্ষমতা তার চেয়েও এক লাখ গুণ বেশি। মাদক ও বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী এ ধরনের কুকুর ব্যবহার করে থাকে।ইংল্যান্ডে একটি দাতব্য সংস্থা মেডিকেল ডিটেকশন ডগসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ক্লেয়ার গেস্ট বলেন, গন্ধ শোকার ব্যাপারে এই প্রাণীটির রয়েছে অসাধারণ এক ক্ষমতা। তিনি বলেন, মানব রোগের গন্ধ শোকার বিষয়ে কুকুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এক বায়োসেন্সর।

Share.