এ বছরই করোনা ভ্যাকসিনের ১ কোটির বেশি ডোজ পাবে যুক্তরাষ্ট্র : মাইক পেন্স

0

ডেস্ক রিপোর্ট: এ বছরই যুক্তরাষ্ট্র করোনা ভ্যাকসিনের এক কোটির বেশি ডোজ হাতে পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ইউটা অঙ্গরাজ্যের সল্টলেক সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে (ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট) মঞ্চে এ কথা বলেন রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক পেন্স। এর আগে কমলা হ্যারিস দাবি করেছিলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন ব্যর্থ। মার্কিন জনগণ আমাদের দেশের ইতিহাসে ব্যর্থতম প্রশাসনকে দেখেছে।’ এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর ঝুঁকির বিষয়ে আগে থেকে জেনেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেন কমলা হ্যারিস।কমলা হ্যারিসের সমালোচনার জবাবে মাইক পেন্স বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র করোনা ভ্যাকসিনের এক কোটির বেশি ডোজ পেতে যাচ্ছে।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।করোনা প্রসঙ্গে মাইক পেন্স আরো জানান, করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে জো বাইডেন এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। তার আগেই দেশটিতে নানা ইস্যুতে আলোচনা জোরদার হয়ে উঠেছে। রিপাবলিকান নাকি ডেমোক্র্যাট—কারা এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হবে, তা নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে, একই সঙ্গে এ বছর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ-এশিয়ান এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনি কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়া বাড়তি আগ্রহ যোগ করেছে।আর এই প্রেক্ষাপটেই আজ বৃহস্পতিবার প্রথমবার ডেমোক্রেটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মাইক পেন্স।মার্কিন নির্বাচনে এ বছর অনেকগুলো বড় ইস্যু রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারি। একই সঙ্গে মানবাধিকার, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের নানা অধিকার-সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে। এ সবকিছু নিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ডেমোক্র্যাটরা আক্রমণ শানিয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে তারাই এগিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা এ ইস্যুতে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিনটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট ও একটি ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পরদিন, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর মার্কিন ভোটারদের মধ্যে জরিপটি চালায় গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম এনবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্ক একটি অন্যতম অনুষঙ্গ এবং এটি নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন নিতে হলেও বিতর্ক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে প্রার্থীদের প্রজ্ঞা, মেধা, সহনশীলতাসহ অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পান ভোটাররা। আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডার মায়ামি ও ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Share.