করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর

0

বিনোদন ডেস্ক: বছরের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে দেশের শোবিজ অঙ্গনে দুঃসংবাদের ছড়াছড়ি। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রবীণ খল অভিনেতা আমির সিরাজী। গত ২৭ ডিসেম্বর মা হারালেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা জায়েদ খান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার ফুসফুসের ৭০ ভাগ আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এত দুঃসংবাদের মধ্যে এবার জানা গেল, একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরও মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। অভিনয়ে নিয়মিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। তাকে সেখানকারই একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এই দুঃসংবাদ জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। এছাড়া খল অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরও একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে খবরটি শেয়ার করেছেন। দেশের গণমাধ্যমকে শাবনূর জানান, কিছুদিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। এর মধ্যে যোগ হয় পিঠের ব্যথা। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে চেকআপ করতে যান। সেখান থেকে বাসায় ফিরলে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। এরপর শাবনূর আলাদা থাকতে শুরু করেন। অভিনেত্রী আরও জানান, পরদিন শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শাবনূরের খুসখুসে কাশি, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা ও খাবারে অরুচি রয়েছে। নিজের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই নায়িকা। পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। বহু হিট ছবির নায়কা শাবনূর ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন। এর পরই অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। শাবনূর ও অনিকের দাম্পত্যের একমাত্র স্মৃতি এখন পুত্রসন্তান আইজান। কারণ, তাদের অনেক আগেই ডিভোর্স হয়ে গেছে। বিয়ের পর থেকেই শাবনূর অস্ট্রেলিয়াতে থাকছিলেন। ডিভোর্সের পরও নায়িকা ক্যাঙ্গারুর দেশেই রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াতে শাবনূরের সঙ্গে তার ভাই এবং ছোট বোন ঝুমুরও স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। করোনার থাবায় হাসপাতালে ভর্তি নায়িকার খোঁজখবর তারাই রাখছেন।

Share.