খালেদা জিয়াকে দেখতে গত ১৪ দিনে কোনও চিকিৎসক যাননি: রিজভী

0

ঢাকা অফিস: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘তার অসুস্থতা নিয়ে চলছে সরকারের নির্দয় আচরণ। তার উন্নতমানের সুচিকিৎসার অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গত ১৪ দিনে কোনও চিকিৎসক তার কাছে যাননি।’ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী অভিযোগ করেন, ‘বিএসএমএমইউর ভিসি সাহেব গত সপ্তাহে রিমাটোলজিস্টদের দিয়ে যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছেন অদ্যাবধি সেই মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়া কিংবা তার কোনও স্বজনকে চিকিৎসার কোনও রিপোর্ট দেননি। প্রচণ্ড ব্যথা-বেদনায় দেশনেত্রী রাতে মোটেই ঘুমাতে পারছেন না। আগের তুলনায় বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।’ দুই মাস আগে খালেদা জিয়ার দাঁতের এক্সরে করা হলেও এপর্যন্ত সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘যেহেতু তার ব্লাড সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত, তাই তার দাঁতের সমস্যার কারণে চোখসহ শরীরের অন্যান্য সমস্যা প্রকট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।’ বারবার ইনস্যুলিন পরিবর্তন এবং ইনস্যুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করার পরেও কোনও অবস্থাতেই খালেদা জিয়ার সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। রিজভী বলেন, ‘কোনও কোনও সময় এটি ২৩-২৪ মিলিমোল পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে খাবারের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেওয়াতে শরীরের ওজন অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে। তিনি হাঁটতে পারেন না, হাত নাড়াতে পারেন না।’ খালেদা জিয়ার বিপজ্জনক অসুস্থতাও সরকার ভ্রূক্ষেপ করছে না বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ প্রমাণ করে তার প্রাণনাশ করতে তারা গোপনে মহাপরিকল্পনা আঁটছে। আইন আদালত বর্তমানে শেখ হাসিনার হাতের মুঠোয় আছে বলে তার সরকার হাতের মুঠোয় বিদ্যমান।’ রিজভী বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে তার কিছু নমুনা দেখছেন। রহস্যে ঘেরা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ছিঁচকে দুর্নীতিবাজদের শত শত কোটি টাকা, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করছে। কিন্তু তাদের নেতা ও আসল হোতাদের ধরা হচ্ছে না। আসলে এ অভিযানের মুখোশে তাদের তৈরি কোনও বিষবৃক্ষকে আড়াল করা হচ্ছে কিনা, এ প্রশ্ন আজ জনগণের মুখে। আওয়ামী লীগের পুরনো দস্তাবেজ ঘাঁটলেও দেখা যাবে-দুর্নীতি ও গণতন্ত্রহীনতা সমানভাবে অস্তিত্বমান ছিল।’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে রিজভী বলেন, ‘গত (বুধবার) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী অ্যালিস জি. ওয়েলস বলেন—একাধিক সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ কিংবা সুষ্ঠু হয়নি। ওই নির্বাচনের আগে সিভিল সোসাইটি, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি পুলিশি নিপীড়ন এবং ভয় ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।’

Share.