চার যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের!

0

ডেস্ক রিপোর্ট: তাইওয়ান সফরে পেলোসি, চার যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্য চুকাতে হবে বলে দেওয়া চীনের কড়া সতর্ক বার্তা উপেক্ষা করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করছেন।  মঙ্গলবার আরও পরের দিকে রাজধানী তাইপেতে পৌঁছাবেন তিনি। এই সফর ঘিরে চীনের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মাঝে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের পূর্ব দিকের উপকূলে একটি বিমানবাহী রণতরীসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়েছে এবং বর্তমানে ফিলিপাইন সাগরে, তাইওয়ান ও ফিলিপাইনের পূর্বে এবং জাপানের দক্ষিণে সেটি রয়েছে বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন মার্কিন নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। জাপান-ভিত্তিক রিগান গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম, একটি ডেস্ট্রয়ার ও একটি ইউএসএস হিগিন্সের সাথে কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, যেকোনও পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম হলেও এসব যুদ্ধজাহাজের মোতায়েন স্বাভাবিক এবং নিয়মিত। তবে এসব যুদ্ধজাহাজের সুনির্দিষ্ট অবস্থানের ব্যাপারে ওই মার্কিন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জল-স্থলে হামলা চালাতে সক্ষম জাহাজ ইউএসএস ত্রিপোলিও মোতায়েনের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে রয়েছে। গত মে মাসের প্রথম দিকে সান দিয়েগোর বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এই জাহাজ। চীনের দীর্ঘদিনের কট্টর সমালোচক ন্যান্সি পেলোসি মঙ্গলবার আরও পরের দিকে তাইপে পৌঁছাতে পারেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই সফর ঘিরে চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে ভীত নয় ওয়াশিংটন।পেলোসি সফরের আগে তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিকে সামরিক তৎপরতার লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো। এদিকে, মঙ্গলবার সকালের দিকে দক্ষিণ চীন সাগরের স্পর্শকাতর জলপথকে বিভক্তকারী সীমান্তরেখার কাছাকাছি বিমান উড়িয়েছে চীন। এর আগে, সোমবারও বেশ কয়েকটি চীনা যুদ্ধজাহাজ অমীমাংসিত সীমান্তরেখার কাছে টহল দিয়েছে বলে এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।  তবে এই বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালের দিকে চীনা যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান সীমারেখা লঙ্ঘন করে টহল দিয়েছে। এটিকে একেবারে অস্বাভাবিক এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, চীনা বিমানগুলো বারবার কৌশলগত মধ্যরেখা প্রায় ছুঁয়ে প্রণালীর অন্য প্রান্তে ফিরেছিল। একই সময়ে তাইওয়ানের বিমানও কাছাকাছি অবস্থানে প্রস্তুত ছিল। সাধারণত উভয়পক্ষের বিমান মধ্যরেখা অতিক্রম করে না।

Share.