ছয় উইকেট হারিয়ে বিপদে শ্রীলঙ্কা

0

স্পোর্টস ডেস্ক: সময় গড়াতেই উইকেটের সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। এই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ১০০ পেরোনোর আগেই শ্রীলঙ্কার পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। দুই স্পিনার মিলে শ্রীলঙ্কার পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ একাই নিয়েছেন চার উইকেট। সাকিব আল হাসান নিয়েছেন একটি উইকেট। বাকি একটি পেয়েছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। স্পিন বোলিংয়ে লঙ্কানদের চাপে রেখেছে তামিম ইকবালের দল।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছয় উইকেটে ১৪৯  রান। জিততে হলে আরও ১০৯ রান করতে হবে সফরকারীদের। আজ রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ২৫৭ রান করে বাংলাদেশ। তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ— তিনজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিক।মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে তিন বল মোকাবিলা করেছেন লিটন দাস। একটিতেও পাননি রানের দেখা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লঙ্কান বোলার চামিরার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেন্থের বল শট খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। প্রথম স্লিপে গিয়ে বল ক্যাচ হয়ে যায়। পাঁচ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।নড়বড়ে শুরুর পর তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি বেঁধে আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এই জুটিতে প্রথম ১০ ওভারে ৪০ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপরই ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। ১৩ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সাকিব। দুই বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন তিনি। ৪১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬৪ বলে ৩৮ রানে ভাঙে দ্বিতীয় জুটি।লিটন-সাকিব ফেরার পর মুশফিকের সঙ্গে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন তামিম। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের ৫১ তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। শেষ ৯ ম্যাচে ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি পাওয়া তামিমকে আর বেশিদূর যেতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ২৩তম ওভারে এলবির ফাঁদে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফেরান ডি সিলভা। ছয় বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭০ বল ৫২ করেন তামিম।তামিমের পর একই ওভারে মোহাম্মদ মিঠুনকেও এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান ডি সিলভা। রানের খাতা খোলারও সুযোগ পাননি মিঠুন। তখন কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে উপহার দেন শতরানের চমৎকার জুটি। মাঝে ৫২ বলে ৪০ তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু হলো তিন অঙ্কের ঘরে যাওয়া। ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৮৪ রানে ভাঙে তাঁর প্রতিরোধ। ৮৭ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কা।মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। রানে তাঁকে ফেরান ডি সিলভা। ৭৬ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

Share.