নিউজিল্যান্ডে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

0

স্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র ৪০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। অনেকটা ব্যর্থ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকেও। এরপরও ধৈর্য্য হারায়নি বাংলাদেশ দল। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিকুর রহিম চার হাঁকালে জয় নিশ্চিত হয় মুমিনুল হকদের। তাতেই গড়ে ফেলে ইতিহাস। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে এটিই টাইগারদের প্রথম জয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম জয় তুলে নিলো রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। প্রথমবারে মতো আয়োজিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় কিউইরা। প্রথম আসরে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। তবে এবার নিউজিল্যান্ড সফরে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিল টাইগার বাহিনী। আগের দিনই জয়ের কাজ অনেকটা সেরে রেখেছিল বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে বুধবার শেষ দিনে মাঠে নামে কিউইরা। ২২ রান যোগ করতেই শেষ তাদের শেষ ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানে পিছিয়ে থাকায় লিড দাঁড়ায় মাত্র ৩৯ রান। ফলে ৪০ রানের সহজ লক্ষ্যই পায় মুমিনুলরা। এই ম্যাচের জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন। চতুর্থ দিনের ৪ উইকেটের সঙ্গে শেষদিনে পেয়েছেন পেয়েছেন ২ উইকেট। ৬ উইকেট নিয়ে বিধ্বংসী বোলিংয়ে এলোমেলো করেছেন কিউইদের। সঙ্গে উড়িয়েছেন বিজয়ের পতাকা। মাত্র ৪০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সফরকারীরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। এরপর মাহমুদুল জয়ের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক মিলে ধীর গতিতেই ব্যাট করছিলেন। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি শান্ত। ব্যক্তিগত ১৩ রানে জেমিসনের করা বলে টেলরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের উইকেটে মুশফির রহিমকে সঙ্গে জুটি গড়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মুমিনুল। ১৩ রানে মুমিনুল ও ৫ রানে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের শেষ দিনে ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার রস টেলর ও রাচি রবিন্দ্রো। টেলর ৩৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন সকালেই থামেন ব্যক্তিগত ৪০ রানে। ৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা রাচিন আউট হন ১৬ রান করে। এছাড়া কাইলও জেমিসন ও টিম সাউদি ফিরেছেন শূন্যরানেই। ৮ রান করেন বোল্ট। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন নেইল ওয়েগনার। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ তিনটি এবং মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন একটি উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ের মাধ্যমে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন এবাদত।

Share.