নেই দাহকাঠ নেই সৎকারের লোক, দিল্লি যেন মৃত্যুপুরী

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল ভারত। বিশেষ করে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ, এমনকি কোন বেডও খালি পাওয়া যাচ্ছে না। অক্সিজেনের অভাবে চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছেন প্রিয়জন। দিল্লি শহরে দেহ সৎকারের প্রয়োজনীয় জায়গাও নেই। চিতা জ্বালাতে পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত দাহকাঠ, অন্ত্যেষ্টির লোকজনেরও অভাব! সবমিলিয়ে করোনায় দিল্লি যেন মৃত্যুপুরী। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লিতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিনশ’ করে কোভিড রোগী মারা যাচ্ছেন! এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় অন্যতম আধুনিক এ শহরের সব শ্মশানে উপচে পড়ছে মৃতদেহে। কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় অন্ত্যেষ্টিতে পাওয়া যাচ্ছে না পরিবারের লোকজন। অনেকে লাশের খবরও নিচ্ছেন না। ফলে সৎকারের লোকেরও অভাব পড়েছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দিল্লির সারাইকালে খান শ্মশানে প্রতিদিন কমবেশি ৬০-৭০টি মরদেহ  সৎকার হচ্ছে। যদিও হিসাব অনুযায়ী এখানে মাত্র ২২ জনের সৎকার করার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে তিনগুণ চিতাদাহ হচ্ছে। শহরে ২৫টি স্থায়ী শ্মশানের প্রত্যেকটিতেই এমন অবস্থা।দিল্লিতে মারা যাওয়া কোভিড রাগীদের চিতা জ্বালাতে বেশকিছু অস্থায়ী শ্মশান তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু চিতা জ্বালানোর জন্য প্রয়োজনীয় দাহকাঠ এবং জনবলের প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে।  ভারতীয় গণমাধ্যম জি-নিউজ বলছে, সেই কবে সিপাহী বিদ্রোহের পর উর্দু ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি মির্জা আসাদুল্লা খান গালিব তার দিনলিপিতে দিল্লি নগরীকে ‘মৃত্যুর শহর’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। কবি মির্জা গালিবের দেখা সেই দিল্লিই যেন আবার ফিরেছে। দিল্লি যেন মৃত্যুপুরী।সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ জন। ফলে মোট কোভিডে আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৭ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭৭১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন।

Share.