প্রশাসনের নজরদারি পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোজ্যতেলের সংকট

0

বাংলাদেশ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রশাসনের নজরদারি পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দোকানে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না তেল। আবার কিছু দোকানে তেল মিললেও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। এমতবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শহর আর গ্রামাঞ্চলে এমন পরিস্থিতি। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে তেল ক্রয় করছেন, আবার কেউ তেল না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মুদি দোকানে এখনও পরিবেশক বা ডিলাররা বোতলজাত তেল সরবরাহ করছেন না বলে তারা অভিযোগ করছেন। তবে খুচরা দোকানীরা বলছেন, অতিরিক্ত মুনাফার আশায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বোতলজাত সোয়াবিন তেলের পরিবেশকরা গুদামে হাজার হাজার বোতল তেল মজুদ করে রাখলেও তারা খুচরা দোকানীদের দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন। আর দু’একটি দোকানে বোতলজাত সোয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দাম নাগালের বাইরে। শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন মুদি দোকানগুলোতে সব পণ্য সাজিয়ে রাখা হলেও কেবলই নেই বোতলজাত সোয়াবিন তেল। অথচ কিছুদিন আগেও সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হতো ভোজ্যতেল। দোকানের তবে কিছু দোকানে যৎসামান্য বোতল দেখা গেলেও লিটার প্রতি দাম ১৯৮ টাকা। বিভিন্ন তেল কোম্পানিগুলোর কারসাজিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকার লিটার প্রতি ৩৮টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা সোয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করায় আগের তেলগুলো ডিলাররা নিজেদের গুদামে মজুদ করে রেখেছে। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানীর বোতলজাত তেলের গায়ে আগের মূল্য উঠিয়ে নতুন মূল্য বসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা সয়াবিনের দাম বেশি থাকায় অধিক মুনাফায় খোলা হিসেবে বিক্রি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরাতনবাজারের কয়েকজন মুদি দোকানি বলেন, এখনো বিভিন্ন তেল কোম্পানির ডিলাররা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে তেল সরবরাহ করছে না। তারা আরও বলেন, তেলের অর্ডার দিলেও তারা তেল দিচ্ছে না। অথচ প্রতি ডিলারের গুদামে বা তাদের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বোতলজাত সোয়াবিন তেল মজুদ রয়েছে। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান জানান, বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটরা। তেলের সংকট আর থাকবে না বলে জানান তিনি।

 

 

Share.