ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘যু’দ্ধ ঘোষণা’ দখলদার ই’সরায়েলের, গণগ্রে’ফতার শুরু

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  গণহারে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের গ্রেফতার শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী বাহিনী। ইতোমধ্যেই প্রায় ১৫৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। আরো অনেককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।যেসব ফিলিস্তিনি পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ উচ্ছেদ অভিযান ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ করেছে বেছে বেছে তাদেরকেই গ্রেফতার করছে খুনী ইহুদিরা।ইসরায়েলের সন্ত্রাসী পুলিশ একে ‘অপারেশন ল অ্যান্ড অর্ডার’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গাজায় ১১ দিনের তাণ্ডবের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু। এর পরপরই গ্রেফতার অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের আগ্রাসনে নারী-শিশুসহ ২৫৩ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বর্বর ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৯ মে থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও নগরে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে তারা।ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সব ইউনিটের সদস্যদের এই অভিযানে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ ভাগ ফিলিস্তিনি।লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের পরিচালক হাসান জাবারিন বলেছেন, এটা আসলে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’। এই গ্রেফতারের উদ্দেশ্য হলো ভীতি প্রদর্শন করা ও ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করা।এদিকে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিরা গণগ্রেফতারকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা সামাজিক মাধ্যমে এই অভিযানের কথা প্রচার করছে।পবিত্র রমজান মাসে উত্তেজনা শুরু হলে শেখ জাররাহ থেকে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে চলতি মাসের প্রথম দিকে হাইফা, ইয়াফা, লিড ও নাজারেথে বিক্ষোভ হয়। এ সময় অনেক ইহুদি বসতি স্থাপনকারী পুলিশের সহায়তায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। তারা এমনকি আরবদের মৃত্যু কামনা করে স্লোগানও দেয়।এদিকে ফিলিস্তিনি-সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচনী জোট জয়েন্ট লিস্টের হয়ে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সদস্য আহমদ তিবি বলেছেন, জেরুসালেম ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার সমর্থনে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা বিক্ষোভ করবে, তা আশা করেনি ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা আগেও বিক্ষোভ করেছে। কিন্তু তবুও এবার তারা তা আশা করেনি। এটা ছিল ইসরায়েলি পুলিশের বড় ধরনের ভুল হিসাব।তিবি বলেন, প্রতিবাদের সর্বশেষ দফার ইসরায়েলি পুলিশ ‘নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে’ ফেলে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিনিময়ে ইসরায়েলি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ জারি করতে চায়।

Share.