বশেমুরবিপ্রবিতে সাংবাদিককে হেনস্তা, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি

0

ঢাকা অফিস: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য সহযোগিতার নামে  সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে ডেকে হেনস্তা ও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, একজন ডিন, ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১৭৪) করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকালের সংবাদদাতা তারিক লিটু। অন্যদিকে মানসিক চাপের অভিযোগ এনে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছে দৈনিক শিরোমনির ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফয়সাল জামান ফাহিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র তারিক লিটু জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ফয়সাল জামানকে তলব ও তার অভিযোগ নিয়ে সংবাদ করার জন্য জানতে ঐদিন রাতে প্রক্টর স্যারকে কল দেই। এর পরপরই আমাকেও পরদিন সকালে তথ্য সহযোগিতার জন্য শাহজাহান স্যারের অফিসে যেতে বলা হয়। আমি যথাসময়ে উপস্থিত হলেই আমাকে বলা হয় তোমার মতো হলুদ সাংবাদিক কেয়ার করি না। বিগত কয়েক মাস আগে প্রকাশিত আমার কয়েকটি সংবাদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। আমি ব্যাখ্যা দেই।  পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমাকে হুমকি দেয়। অনশনরতদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রক্টর রাজিউর রহমান স্যারের একটি ছবি তোলায় ও তা বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেইজে প্রচার করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাবেন বলে হুমকি দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র ও সাংবাদিক ফয়সাল জামান বলেন, ২০১৯-২০ সেশনের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে ডেকে নিয়ে জেরা করছে। সংবাদের লাইন ধরে ধরে ব্যাখ্যা চেয়েছে। এই সংবাদ করে আমার লাভ কি, এত ইন্টারেস্ট কেন, এ সকল  প্রশ্ন করা হয়েছে।  একটি ডকুমেন্টের সোর্সের নাম জানতে চেয়েছিল, নাম জানাতে অস্বীকার করলে আমাকে  চুরির অপবাদ ও চুরির দায়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সংবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে বারবার বলেছেন।’ এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, আমি তদন্ত কমিটির সদস্য। তদন্তবোর্ডে আমি সব সময় ছিলাম না। মাঝে মধ্যে গিয়েছি। তবে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার সময় খুলনা ছয় আসনের এমপির স্ত্রী তার অধীনে চাকরি করতেন বলে স্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ কিউ এম মাহবুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিকের জিডির বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই সঠিক তথ্য জানার জন্য দুই সাংবাদিককে তদন্ত কমিটিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে কি ঘটেছিল, তা আমি জানি না।

Share.