বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশ ও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রস্থল: রাষ্ট্রপতি

0

ঢাকা অফিস: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রস্থল বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‌‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশ ও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রস্থল। বিশ্ববিদালয়ের কাজ হচ্ছে যুক্তি ও সত্যের অনুসন্ধান। নতুন নতুন জ্ঞান সৃজন এবং মানবকল্যাণে তার ব্যবহার।’ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ খান আরও বলেন, ‌‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য অর্জন জাতিকে যেমন অনুপ্রাণিত করে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রত্যাশিত সংবাদ ও ঘটনা জাতির মনে, সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’ রাষ্ট্রপতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্রতার হার। কৃষির উন্নতিতে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ সাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য।’ স্বাধীনতা যুদ্ধে খুলনার মানুষের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে খুলনা অঞ্চলের জনগণের রয়েছে বিপুল অবদান। হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর বর্বরতার সাক্ষ্য বহন করছে গল্লামারী বধ্যভূমি।’ এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, এম.ফিল. ৫ জনকে, পি.এইচ. ডি. ৮ জনকে এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য এবার ২৩ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। সমার্বতন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

Share.