মহাবিপদ সংকেতের পরও একটি পতাকা, আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি লোকজন

0

ঢাকা অফিস: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য মোংলায় শনিবার (৯ নভেম্বর) ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মহাবিপদ সংকেত জারির পর তিনটি পতাকা উড়ানোর কথা থাকলেও মাত্র একটি পতাকা উড়তে দেখা গেছে। এতে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে, মহাবিপদ সংকেত জারির পরও আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি লোকজন। তাদের জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত মান্নান। মোংলা পৌর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে দফায় দফায় সতর্কতামূলক মাইকিং করলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এ প্রসঙ্গে ইউএনও রাহাত মান্নান বলেন, ‘আমরা এখন বের হচ্ছি।  লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।’১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে অবস্থান করা দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে পশুর চ্যানেলে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন ও নির্গমনও। বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, তাদের পক্ষ থেকে এম টি সুন্দরবন, এম টি শিপসা ও এমটি অগ্নিপ্রহরী নামে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে কামরুজ্জামান, মুনসুর আলী, স্বাধীন বাংলা, সোনার বাংলা ও অপারেজয় বাংলা নামে পাঁচটি উদ্ধারকারী জাহাজ। শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে তিনটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দর জেটি ও আউটার অ্যাংকরেজে অবস্থানরত ১৪টি জাহাজ নিরাপদে রয়েছে। বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

Share.