উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

0

ঢাকা অফিস: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ ৯ উপকূলীয় জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার মধ্যে এটি সুন্দরবনের পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১০ নম্বর সতর্কতার আওতায় থাকা জেলাগুলো হচ্ছে-ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ। ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে- উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার ৫২০ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আজ দুপুর থেকে দমকা/ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঝড়ের কেন্দ্রে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ও মুন ফেজ (পূর্ণিমা) এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এসব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Share.