যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

0

ঢাকা অফিস: চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। একই সঙ্গে অপ্রচলিত বাজারেও তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে। গতকাল শনিবার চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলের দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশ ২১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জুলাই থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ে দেশের মোট পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে শুধু ইউরোপের বাজার থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ২১ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে যুক্তরাজ্যে ৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে গেছে মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ পোশাক, যা থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে আলোচ্য সময়ে কানাডায় গেছে মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ তৈরি পোশাক। এ থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, যা থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। ইপিবি বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমেছে। এতে রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। অপ্রচলিত বাজারে আলোচ্য ১০ মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে রাশিয়া ও চিলিতে যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

Share.