‘যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত হলেও ইরানকে চটাতে চায় না ভারত’

0

ডেস্ক রিপোর্ট: গতকাল বুধবার ইরাকে মার্কিনিদের ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় ৮০ সেনা নিহত হয়েছে। হামলায় প্রায় ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী। এতে তাদের বিমান ও অন্য সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়। এ ঘটনার পর দিন আজ বৃহস্পতিবার ওমান সাগর ও পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় এবার যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই পদক্ষেপ নিলো ভারত। যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ব্যাপারে ভারতের নৌবাহিনী বলছে, নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে ও সমুদ্র বাণিজ্যের নিশ্চয়তা প্রদানে তারা যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনার মধ্যে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের এই প্রস্তুতি বলে জানানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় নজর রেখেছে ভারত। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সক্রিয় অবস্থায় রাখা হয়েছে নৌবাহিনীকে। নজরদারি চলবে আকাশপথেও। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমারা সজাগ। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয় ভিন্ন ভাবে। পত্রিকায় প্রকাশ, ‘আমেরিকার প্রতি বিশ্বস্ত থেকেও ইরানকে চটাতে চাইছে না ভারত। চাবাহার বন্দরে বিপুল বিনিয়োগ, ইরানের সহায়তায় পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানসহ পশ্চিম এশিয়ার বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরে ফের তেল আমদানির রাস্তা খুলে রাখার মতো বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে।’ এ প্রেক্ষিতে নয়া দিল্লিকে তেহরানের কাছ থেকে দূরে রাখাটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। এদিকে আমেরিকা-ইরানের উত্তেজনায় শঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির উপর । উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে ভারতে বছরে চার হাজার কোটি ডলার বিদেশি মুদ্রা আসে যা দেশের মোট বিদেশি মুদ্রা আমদানির অর্ধেকেরও বেশি। ওমান ও পারস্য উপসাগরের মধ্যবর্তী হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রেও ভারতের যথেষ্ট নির্ভরতা রয়েছে। অশান্তি বাড়লে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছে ভারত। বাড়তি নিরাপত্তার খাতিরে গত বছরই ওমান উপসাগরীয় এলাকায় আইএনএস চেন্নাই ও আইএনএস সুনয়না নামে দু’টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল ভারতীয় নৌসেনা। এবার আরও সতর্ক পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । এখনকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ৪০০০ টন ওজনের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী আইএনএস ত্রিকাণ্ডকেই উপসাগরীয় এলাকায় মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল ভারত।

Share.